ঢাকা: আগাম নির্বাচনের আগে পদত্যাগের দাবি আবারও প্রত্যাখ্যান করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা।
মঙ্গলবার বিক্ষোভ বন্ধ করতে সরকারবিরোধীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইংলাক সাংবাদিকদের বলেন, পরবর্তী সরকার কারা পরিচালনা করবে তার জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী অবশ্যই আমাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমার সাধ্যানুযায়ী আমি পিছু হটেছি-এখন সংবিধান সমুন্নত রাখার স্বার্থে আমার প্রতি খানিকটা সুবিচার করুন।
প্রধানমন্ত্রীর আগাম নির্বাচনের ঘোষণার পরও পিছু হটছে না বিরোধীরা। সোমবার বিকেলেও বিক্ষোভকারী দলের প্রধান ও সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবান জানিয়েছেন, বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করবো, জনগণের সরকার গঠন করবো এবং পার্লামেন্টের স্থলে জনগণের পরিষদ গঠন করবো।
অবশ্য, প্রধানমন্ত্রীর আগাম নির্বাচনের ঘোষণার পর বিক্ষোভকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এখনও কিছুসংখ্যক বিক্ষোভকারী সরকারি কার্যালয়গুলোর বাইরে অবস্থান করছে। তবে সে সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কম।
এর আগে, সোমবার প্রায় দেড় লাখ বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গভর্নমেন্ট হাউস’র সামনে জড়ো হয়। সরকার পতনের জন্য এটাকেই ‘চূড়ান্ত আন্দোলন’ বলে ঘোষণা দেয় তারা।
তবে, বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জড়ো হওয়ার আগেই পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিক্ষোভকারীরা চাইছে, ইংলাক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে অনির্বাচিত ‘পিপলস কাউন্সিল’কে ক্ষমতায় বসাতে। যদিও ২০১১ সালে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে ক্ষমতাগ্রহণ করেন ইংলাক। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাই তার বোন ইংলাকের নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ২০১১ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করা ইংলাকের পেউ থাই পার্টির (পিটিপি) ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে দেশটির গ্রামীণ অঞ্চলে। এজন্য আগামী নির্বাচনেও দলটি ফের ক্ষমতায় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এজন্যই মূলত বিক্ষোভকারীরা আগাম নির্বাচনকেও একপ্রকার প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করছে ইংলাকের পিটিপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৩