ঢাকা: ওপরের নির্দেশ, বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরাও রাখতে হবে। হাতে দাঙ্গা ঠেকানোর ‘ঢাল’ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ ‘নট নড়াচড়া’।
যুক্তরাজ্যের বিবিসি, ডেইলি মেইলসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত কিয়েভের বিক্ষোভের ছবিগুলোতে যেমন সহিংসতার চিত্র ফুটে ওঠে, তেমনি খানিকটা ‘রসাত্মক’ চিত্রও পরিলক্ষিত হয়।
বেচারা পুলিশের কী দশা! ইউনিফর্ম, একটা লাঠি আর একটা দাঙ্গা ঠেকানোর লোহার ঢাল দিয়েই দায় সারেন ওপরের কর্তারা। কিন্তু এই শীতকালে যে অনবরত তুষারপাত হয় সেদিকে কি তাদের খেয়াল আছে? খেয়াল নেই বলেইতো বেচারা পুলিশ সদস্যরা জমে এমন বরফ হয়ে যাওয়ার পরও তাদের মাথার ওপরে কোনো ছাতা কিংবা তুষার ঠেকানোর ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ!
বিক্ষোভ, সহিংসতা আর হতাহতের খবরে ইউক্রেনে উত্তেজনা-ক্ষোভ আর আতঙ্ক বিরাজ করলেও কিয়েভ পুলিশের মাথার ওপর বরফের স্তূপ জমে যাওয়ার এই ছবিগুলো দেখলে যে কাউকেই আনমনে হেসে উঠতে হবে!
অনুগত পুলিশ বাহিনী বটে। জমে বরফ হয়ে গেলেও স্থান থেকে একদমই ‘নট নড়াচড়া’!
উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্টতায় বেজায় চটেছেন সরকারবিরোধীরা। রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে গিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে প্রস্তাবিত একটি চুক্তি না করায় সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা সরকার ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। সরকারি অফিস, রাস্তা-ঘাট অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন চললেও রোববারতা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এমনকি বিক্ষোভকারীরা কিয়েভে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা স্ট্যালিন লেনিনের ভাস্কর্যও অপসারণ করেন। ওই দিনের বিক্ষোভকে ২০০৪ সালের অরেঞ্জ বিপ্লবের পর পর সবচেয়ে বৃহত্তম আন্দোলন বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৩