ঢাকা: মধ্য প্রাচ্যে ও উত্তর আফ্রিকায় সংঘাত, সন্ত্রাসবাদ আর সরকারের পতনের আান্দোলন বাড়ছে। অন্যদিকে পূর্ব আফ্রিকায় বাড়ছে রাজনৈতিক সংঘাত।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ঝুঁকি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ম্যাপলক্রফ্ট এমন তথ্য জানিয়েছে। ম্যাপলক্রফ্ট জানিয়েছে, এমন অবস্থার পেছনে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার অভাব, বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর দমনপীড়ন, বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্মম আচরণ, খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও কর্মের পরিবেশ খারাপতর হওয়া ইত্যাদি কারণ রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে অস্থিতিশীল হিসেবে সোমালিয়াকে চিহ্নিত করেছে ম্যাপলক্রফ্ট। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিরিয়া।
রাজনৈতিক সহিংসতাসহ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণে অস্থিতিশীল দেশ হিসেবে আফগানিস্তান তৃতীয়, সুদান চতুর্থ, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো পঞ্চম, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ষষ্ট, ইয়েমেন সপ্তম, লিবিয়া অষ্টম, দক্ষিণ সুদান নবম ও ইরাক দশম স্থানে রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যাপলক্রফ্টের আশঙ্কা, সামাজিক সুযোগ-সুবিধা আর রাজনৈতিক স্বাধীনতার মধ্যে বৈষম্য বাড়ার কারণে ২০১৪ সাল বা এরপর বাহরাইন, আজারবাইজান, দক্ষিণ আফ্রিকায় অস্থিতিশীলতা হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।
রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও সামাজিক সুযোগ যেমন তরুণদের শিক্ষা ও কম্পিউটার জ্ঞানার্জন ইত্যাদি বিষয়ের পার্থক্য বাড়ার কারণে রাজনৈতিক অস্থিতিরতা বাড়ছে।
রাজনৈতিক স্বাধীনতার অভাবকে সাময়িক থেকে দীর্ঘ মেয়াদি অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ম্যাপলক্রফ্টের জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক ঝুঁকি বিশ্লেষক শ্যারলোটে ইংহাম।
২০১০ সালের আরব বসন্তের আগে লিবিয়া, তিউনিশিয়া, ইরান, সিরিয়া ও মিশরে রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও সামাজিক সুযোগ ভোগের মধ্যে বিস্তর ফারাক ছিল।
১৯৭টি দেশের ওপর ৫২টি সূচকের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতার অবস্থান নির্ণয় করেছে ম্যাপলক্রফ্ট। রাজনৈতিক ইস্যু ব্যবসার পরিবেশে প্রভাব ফেলছে-বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা করতে এ বিশ্লেষণ চালিয়েছে ম্যাপলক্রফ্ট।
প্রতিষ্ঠানটি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ভয় পাচ্ছেন বিনিয়োগ করতে। সারা বিশ্বব্যাপী সরকারি দমনপীড়ন ব্যাপকভাবে বাড়ায় তারাও শঙ্কিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com