ঢাকা: ১০ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গের সকার সিটি স্টেডিয়াম যেন বিশ্ব নাগরিকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল। বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা লেনসন ম্যান্ডেলার স্মরণানুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
অনেক রাষ্ট্রপ্রধানের আদর্শ ছিলেন ম্যান্ডেলা। নিজের প্রিয় আর শ্রদ্ধার পাত্রকে মনের মাধুরী মিশিয়ে শব্দ চয়ন আর বিভিন্ন বাক্যালঙ্কারে স্মরণ করেছেন। যেমন-বারাক ওবামা ‘ইতিহাসের দৈত্য’ (জায়ান্ট অব হিসট্রি)।
কিন্তু এই স্মরণানুষ্ঠানে কলঙ্কের দাগ লেগেছে। বিশ্বের নেতাদের ভাষণ যিনি সংকেত ভাষায় রূপান্তর করেছেন, সেই সংকেতভাষী সকার সিটি স্টেডিয়ামের স্মরণানুষ্ঠানে মেখে দিয়েছেন কালিমা। ওই ব্যক্তি নাকি আসল সংকেতভাষী নন, তিনি ‘ভুয়া’ সংকেতভাষী।
শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি মানসিক সমস্যাগ্রস্ত। কঠোর নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে সংকেতভাষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় নিজেকে বীরও ভাবছেন থামসানকা জান্তজেই।
৩৪ বছর বয়সী এ আফ্রিাকন নিজকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে দাবি করেছেন। জোহানেসবার্গভিত্তিক স্টার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
নিজে যে পেশাদার সংকেতভাষী নন, সেটিও স্বীকার করেছেন ওই সাক্ষাৎকারে। তিনি স্টেজে দাঁড়িয়ে বক্তব্য শোনার পর যে শারীরিক ভাষা ব্যবহার করেছেন তা বিশ্বের কোনো বধিরের কাছে অর্থপূর্ণ ছিল না।
তিনি বলেন, ‘সেখানে আমার কিছুই করার ছিল না। আমি একা খুবই ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। আমি আমাকে নিয়ন্ত্রণের ও কী ঘটছে সেটা বিশ্বকে বুঝতে না দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি খুবই দুঃখিত। ’
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারও স্বীকার করেছে, জান্তজেই পেশাদার সংকতভাষী নন। অত্যন্ত সতর্ক ব্যবস্থা সত্ত্বেও কীভাবে সংকেতভাষী হিসেবে পাস পেলেন সেটি খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির সরকার।
৫ ডিসেম্বর পৃথিবী থেকে বিদায় নেন সাদা আর কালো চামড়ার বৈষম্যে নিরসনকারী নেলসন ম্যান্ডেলা। শান্তিতে নোবেলজয়ী নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯১৮ সালে পৃথিবীতে এসেছিলেন।
১৪ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে নিজ গ্রাম কুনুতে কবর দেওয়া হবে ম্যান্ডেলাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৩