বেইজিং: চীনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ( রাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম) প্রথমবারের মতো কিছুক্ষণের জন্য আকাশে উড্ডয়ন করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসের কাছে মঙ্গলবার এটি নিশ্চিত করেছেন।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ছয় হাজার মিটার বা তারও উঁচু দিয়ে এ ধরনের বিমান চলাচলে সক্ষম। বিবিসি, রয়টার্সসহ চীনের প্রায় সবকটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর বেরিয়েছে।
হু জিনতাও বলেন, রবার্ট গেটসের সফর ও জে-২০-র উড্ডয়ন দৈবাৎ ঘটনা মাত্র। সফরকালে এরকম কোনো পরিকল্পনা চীনের নির্ধারণ করা ছিল না।
এ বিষয়ে গেটস বলেন, `আমি সরাসরি প্রেসিডেন্ট হুকে জিজ্ঞাসা করতে তিনি বললেন, জে-২০ যুদ্ধবিমানের পরীক্ষা আমার সফরের সময়ে করা হবে এমন কোনো পরিকল্পনা তার তাদের ছিল না। `
ব্ল্যাক সিল্ক জে-২০ নামের ওই যুদ্ধবিমানটি রাডারের চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম। প্রথমবারের উড়া শুরু করে বিমানটি ২০ মিনিট আকাশে থাকে। শেষের দিকে এর একটি ছবি নেওয়া হয়। উড্ডয়নের সময় এর পেছনে দুটি ধাওয়াকারী বিমান মোতায়েন করা ছিল। এ ব্যাপারে চীনের সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য নেই।
ভাবা হচ্ছে, জে-২০ বিমানটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফ-২২ র্যাপটর ও রাশিয়ার রুশো-ইন্ডিয়া টি-৫০ যুদ্ধবিমানের অনুকরণে নির্মিত। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরে চীন হচ্ছে বিশ্বে তৃতীয় দেশ যে এ ধরনের বিমান তৈরি করেছে।
রবার্ট গেটস তিনদিনের সফরে বেইজিং আছেন। এ সফরে তিনি দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চান। এর আগে সফরের পথে তিনি চীনের জে-২০ যুদ্ধবিমান সম্পর্কে শোনার পর এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র `উদ্বিগ্ন` বলে মন্তব্য করেন।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সামরিক কর্মকর্তা ডগলাস ব্যারি বলেন, ‘জে-২০ যুদ্ধবিমানটিকে মনে হচ্ছে প্রামাণ্য অথবা এ ধরনের বিমানের একটি দৃষ্টান্ত। এর অদৃশ্য হওয়ার বৈশিষ্ট্য রয়েছে, বিশেষ করে সামনের অংশে। ’
তিনি বলেন, গত ১৯৯০-এর দশক থেকেই চীন ভবিষ্যৎ যুদ্ধবিমানের ওপর গবেষণা করছে। তত্ত্বীয়ভাবে ধরা হয়, জে-২০ আগামী ২০১৮-২২ সাল নাগাদ আকাশে উড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১১