ভুপাল: ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে চরম অসহায় এক বাবা অশেষ মর্মান্তিক এক ঘটনার সম্মুখীন হলেন। মেয়ের মৃতদেহ বাইসাইকেলে বেঁধে ১৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিয়ে গেলেন হাসপাতালে।
স্থানীয় পুলিশ তাকে জানায়, ময়নাতদন্তের জন্য মেয়ের মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বাবারই দায়িত্ব। কারণ সেখানে কোনো যানাবাহন নেই।
দুধমুনিয়া গ্রামের হতভাগ্য বাবা গোকুল গোন্দ একজন কৃষক। সোমবার তার ১৬ বছর বয়সী কিশোরী মেয়ে সোহাগার মৃত্যুর কারণ জানতে হাসপাতালে এসেছেন। গত শনিবার মেয়েটি বিষপান করেছে।
স্থানীয় পুলিশ গোন্দকে ময়নাতদন্ত করতে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় এবং ফিরে আসতে বলে।
অসহায় গোন্দ তার তীব্র শোক অতিকষ্টে গিলে ফেলে এবং বাইসাইকেলের উপযুক্ত একটি তক্তার সঙ্গে মেয়ের মৃতদেহ বেঁধে নেয়। এরপর ১৪ কিলোমিটার সাইকেলে প্যাডেল চালিয়ে তিনি জেলার সদর দপ্তর আনুপর পৌঁছান।
বিষয়টি স্থানীয় কংগ্রেস দলের আইনপ্রণেতা বিসাহুলাল সিং জানতে পারেন। তিনি সেটা জেলার কালেক্টর কবীন্দ্র কিবায়তকে বলেন গোন্দকে সহায়তার জন্য। গ্রামের সোহাগার লাশ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ি সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মানবাধিকার কর্মীরা তীব্র সমালোচনা করেছে। শ্রমিক আদিবাসী সংগঠনের প্রধান অনুরাগ মোদি বলেন, ‘এ ঘটনায় জানা গেছে মধ্যপ্রদেশের আদিবাসীরা কি অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ’ তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে একটি অ্যাম্বুলেন্সও নেই। পুলিশের অনুভূতিও ভোঁতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১১