ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কেরির অনুশোচনায় সন্তুষ্ট নয় ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩
কেরির অনুশোচনায় সন্তুষ্ট নয় ভারত ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগেড়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেননের কাছে ফোন করে ‘অনুশোচনা’ প্রকাশ করলেও সেটিকে যথেষ্ট বলে মনে করছে না ভারত। যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা চাইতে বলেছে ভারত।



ভারতের মন্ত্রী কমিল নাথ যুক্তরাষ্ট্রকে ভুল স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ‘অনুশোচনা’ প্রকাশ যথেষ্ট নয়।

গৃহকর্মীকে প্রতিশ্রুত বেতনের কম দেওয়ার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার দেবযানীকে গ্রেফতার করে নিউইয়র্ক পুলিশ। হাতকড়া পরিয়ে দেবযানীকে থানায় নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে শরীরে তল্লাশি, যৌনকর্মী ও মাদকাসক্তদের সঙ্গে হাজতে রাখা হয়।

বুধবার শিব শঙ্কর মেননকে ফোন করেন জন কেরি।   দেবযানীকে হেনেস্তা করার বিষয়টিকে কেরি ‘দুভার্গ্যজনক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হওয়া উচিত নয়।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কমিল নাথ বলেন, ‘শুধু অনুশোচনা করা এবং আনুষ্ঠানিকতা পালন গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা খুশি নই। তারা যেভাবে বিষয়টি ঘটিয়েছে, তারা যে ব্যবহার করেছেন এবং যে মনোভঙ্গি দেখিয়েছেন...তাদেরকে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। ’

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবশ্যই স্বীকার করা উচিত যে তারা ভুল করেছে এবং তারপরেই সন্তুষ্ট হব।

বুধবার ভারতের বিভিন্ন দলের মন্ত্রীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ‍জানান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং দেবযানীকে গ্রেফতার ও তার সঙ্গে মার্কিন পুলিশের আচরণকে ‘শোচনীয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

গত শুক্রবার ম্যানহ্যাটনের একটি আদালতে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার জামানতের বিনিময়ে ছাড়া পান দেবযানী। ছাড়া পাওয়ার পর তিনি গৃহকর্মী সঙ্গীতা রিচার্ডের বিরুদ্ধে চুরি ও ব্লাকমেইল করার অভিযোগ তুলেছেন।

এ ঘটনা ভারতের সরকার, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। প্রতিশোধমূলক আচরণ হিসেবে ভারতে অবস্থানরত মার্কিন কূটনীতিকদের সবধরনের বিশেষ সুযোগ সুবিধা স্থগিত এবং নয়াদিল্লিস্থ মার্কিন দূতাবাসের চারপাশের নিরাপত্তা ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলা হয়।

ঘটনার পরের দিন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েলকে তলব করে ক্ষোভের কথা জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং।

নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতের মামলার নথিপত্রে বলা হয়েছে, দেবযানী ভিসা আবেদনে লিখেছেন, তিনি তার গৃহকর্মীকে মাসে সাড়ে চার হাজার মার্কিন ডলার বেতন দেবেন। কিন্তু তদন্তকারীরা দেখতে পেয়েছেন, দেবযানী তার গৃহকর্মীকে মাত্র ৫৭৩ মার্কিন ডলার দেন যা রাজ্যের ন্যূনতম বেতনের চেয়ে কম।

দেবযানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে দেবযানী কূটনীতিক রেহাইয়ের (ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি) ভিত্তিতে অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় দেবযানী পূর্ণ কূটনীতিক রেহাইপ্রাপ্ত ছিলেন না।


ভারতে ম‍ার্কিন সমকামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

লেজ গোটালো যুক্তরাষ্ট্র!

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।