ঢাকা: জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দিল্লির সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আম আদমি পার্টি (এএপি)। দল হিসেবে যাত্রা শুরু করার মাত্র এক বছরের মাথায় শাসন ক্ষমতায় যাচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এএপি।
শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তের কথা জানাবে দলটি। নতুন দল হিসেবে এএপির সরকার গঠন করার সামর্থ্য নেই-এমন গুঞ্জনের অবসান ঘটাতে যাচ্ছে এএপি।
কংগ্রেস সদস্যদের নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দিল্লির রাজ্যসভা নির্বাচনে ৭০ আসনের ২৮ আসনে বিজয়ী এএপি।
মাসের শুরুতে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়। দলটি মাত্র ৮টি আসন পায়। অন্য দিকে ৩২ আসন পেয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রথম ও ২৮ আসন পেয়ে এএপি দ্বিতীয় স্থানে থাকে। বাকি দুটি আসনের একটি বিজেপির এক শরিক দল ও অন্যটি স্বতন্ত্র প্রার্থী লাভ করেন। কিন্তু সরকার গঠন করতে এককভাবে ৩৬টি আসন প্রয়োজন।
প্রথম স্থানে থাকা সত্ত্বেও সরকার গঠন করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বিজেপি। অন্যদিকে সরকার গঠনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় এএপি। সরকার গঠনের সময়ের শেষ দিকে রাজ্যের লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জং এএপি প্রধানকে ডেকে তার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এএপি প্রধান কেজরিওয়ালকে নাজিব জং বলেন, কোনো দলই সরকার গঠন না করলে তিনি রাষ্ট্রপতির শাসন চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠাবেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে কিছু দিন সময় চান কেজরিওয়াল।
সরকার গঠন করতে বিজেপি ও কংগ্রেসকে ১৮ শর্ত দেয় এএপি। এসব শর্ত পূরণে যে দল সমর্থন দেবে তাকে নিয়ে জোট সরকার গঠন করবে এএপি।
সরকার গঠনে সার্মথ্য নেই এমন অভিযোগ খণ্ডানোর জন্য অবশেষে সরকার গঠন করছে এএপি। আর কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর বিষয়টি অনৈতিক কোনোকিছু দেখছে না দলটি।
এএপি প্রধান বলেছেন, এটি রাজনৈতিক প্রশ্ন...আমরা সরকার গঠন করি আর না করি....এতে অনৈতিক কোনোকিছু নেই।
খুব শিগগিরই সরকার গঠনে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেবে এএপি। তাদের নতুন সরকারের অগ্রাধিকার থাকবে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর ওপর পর্যবেক্ষণ ও লোকবাল বিল প্রণনয় করা।
সমালোচকদের উদ্দেশে কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে, আমরা সরকার গঠন করতে পারব না। শাসন করা চাঁদে যাওয়ার মতো নয়। আমরা তাদের চেয়ে ভালোভাবে সরকার চালাবো। ’
এএপি নেতা মনিস সিসোদিয়া বলেছেন, সরকার গঠনের সিদ্ধান্তের তারা ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর