ঢাকা: আসন্ন ২ ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ডের প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটি পার্টি (ডিপি)।
শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিজিত বেজাজিবা এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা নির্বাচনে প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছি না, কারণ ‘থাই রাজনীতি এখন একটি ব্যর্থ অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে’।
সংবাদ সম্মেলনে অভিজিত জানান, তার দল এই একতরফা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঠে নামাচ্ছে না। কারণ, থাইল্যান্ডের জনগণ বর্তমান গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।
কয়েক সপ্তাহব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর চলতি মাসের শুরুর দিকে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা।
এদিকে, দেশের এই রাজনৈতিক বিভাজনের প্রেক্ষিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল প্রায়ুথ চ্যান-ওচা।
তিনি বলেন, এ ধরনের বিভাজন দেশে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে পারে।
তবে বর্তমান বিভাজন কাটিয়ে উঠতে একটি ‘পিপল’স অ্যাসেম্বলি’র প্রস্তাব দিয়েছেন সেনাপ্রধান। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিভাজন কাটাতে নেতাদের বাইরে দু’পক্ষেরই বেসামরিক নাগরিকদের দিয়ে এই অ্যাসেম্বলি গঠিত হবে।
২০১০ সালের পর এই প্রথম এ ধরনের রাজনৈতিক অচলাবস্থায় টালমাটাল হয়ে উঠলো থাইল্যান্ড।
পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মুখে গত ৯ ডিসেম্বর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি।
তবে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা চাইছে, সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি অনির্বাচিত ‘পিপলস’ অ্যাসেম্বলি’ গঠন করতে।
প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচাতে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে দাবি করে গত ২৪ নভেম্বর রাজধানী ব্যাংককের রাস্তায় নামে সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবানের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর