ঢাকা: রোববার বড় ধরনের গণবিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিচ্ছে থাইল্যান্ডের সরকারবিরোধীরা। ইতোমধ্যেই সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ের প্রাঙ্গণসহ রাজধানী ব্যাংককের রাস্তায় জড়ো হতে শুরু করেছে বিক্ষোভকারীরা।
শনিবার দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি আগামী ২ ফেব্রুয়ারির আগাম নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত জানানোর পর সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দিতে এবং ব্যাংককের কেন্দ্রবিন্দু অচল করে দিতে এ বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই রাজধানী ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। এদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। উপস্থিত বিক্ষোভকারীরা বলছেন, রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা থেকে আরও হাজারো বিক্ষোভকারী রাজধানী অভিমুখে রওয়ানা হয়েছেন।
গত ২৪ নভেম্বর বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা।
কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে বাঁচাতে দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচাতে তার বোন ইংলাক একটি আইন প্রণয়ন করেছেন অভিযোগ করে বিক্ষোভে নামা সরকারবিরোধীরা চাইছেন, ক্ষমতাসীন পেউ থাই পার্টিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে একটি অনির্বাচিত গণপরিষদকে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব দিতে।
বিক্ষোভকারী দলের প্রধান সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবান বর্তমান ইংলাক সরকারকে ‘দুর্নীতিবাজ থাকসিনের শাসন’ আখ্যা দিয়ে এ শাসনের পতন ঘটাতে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, চলমান রাজনৈতিক বিভাজন দেশে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চ্যান-ওচা।
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীই ‘পদক্ষেপ’ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছেন দেশটির রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
থাই বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর