ঢাকা: পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে করা মামলার বিচার স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে বিচার শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আদালত প্রাঙ্গণে বিস্ফোরক উদ্ধারের পর স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সামরিক আদালতে বিচার চেয়ে মোশাররফের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার একদিন পরেই ইসলামাবাদের বিশেষ আদালতে মঙ্গলবার এ বিচার শুরু হওয়ার কথা ছিল।
সোমবার পাকিস্তানের সাবেক সেনা প্রধান মোশাররফের আইনজীবীরা যুক্তি দেখান, তাদের মক্কেল ২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। তাই শুধু সামরিক আদালতেরই কর্তৃত্ব রয়েছে তার বিচার করার।
কিন্তু ইসলামাবাদের হাইকোর্টে তাদের ওই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। বিচারক ও কৌঁসুলি নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে মোশাররফের আইনজীবীদের আবদনও নাকচ করে দেন হাইকোর্ট।
২০০৭ সালে সংবিধান স্থগিত ও জরুরি আইন ঘোষণার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক এ স্বৈরশাসক বিশ্বাসঘাতকা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ডসহ প্রধান চারটি মামলায় জামিনে রয়েছেন।
নিজের বিরুদ্ধে সব মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে দাবি করেছেন মোশাররফ। তিনি পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসক হিসেবে নিজের কৃতকর্মের জন্য বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন।
১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা অধিষ্ঠিত হন মোশাররফ। রাজনৈতিক দলগুলোর চাপে ২০০৮ সালে নির্বাচন দিতে বাধ্য হন তিনি। নির্বাচনে পরাজিত হলে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যান।
প্রায় চার বছর লন্ডন, দুবাইয়ে কাটানোর পর ২০১৩ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে বছরের শুরুতে পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন করলে গ্রেফতার হন তিনি।
নির্বাচন কমিশন তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য ঘোষণা করে। আগাম জামিন আবেদন নাকচ করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। আট মাস আগে গ্রেফতারের পর তাকে কয়েকদিন আগে জামিন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা/আপডেটেড: ১৩১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর