ঢাকা: গত সপ্তাহের সহিংসতায় দক্ষিণ সুদানে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার সমন্বয় কমিটি।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য ইউনিটির রাজধানী বেনিতিউতে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার সমন্বয়ক টবি ল্যানজারের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, দক্ষিণ সুদানের জন্য বিধ্বংসী সপ্তাহ ছিলো এটি।
এদিকে সহিসংসতা মারাত্মক আকার ধারণ করায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে দেশটিতে আরও ১২ হাজার ৫০০ শান্তিরক্ষী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট সালবা কির দাবি করেন, বিদ্রোহীরা আগে দখলে নিলেও তার সরকারি বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ শহর ‘বোর’ পুনর্নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নুয়ের সম্প্রদায়ের রিয়েক মাচার দিনকা সম্প্রদায়ের প্রেসিডেন্ট কিরের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ তাদের বিশেষ প্রতিবেদনে জানায়, অন্তত ৩টি গণসমাধি খুঁজে পেয়েছে পর্যবেক্ষক কমিটি। আর এসব গণসমাধিতে খুঁজে পাওয়া নিহত ব্যক্তিরা সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলেই জানতে পেরেছে জাতিসংঘ।
দক্ষিণ সুদানে অব্যাহত এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন।
তিনি বলেছেন, দক্ষিণ সুদানের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব। কেউ যদি নিরপরাধ মানুষকে হত্যা-নির্যাতন করে তবে তাকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট সালবা কির তার সরকারের বিরুদ্ধে সেনাঅভ্যুত্থান চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছেন বলে ঘোষণা দেওয়ার পরই মূলত সহিংসতার সূত্রপাত হয়।
সহিংসতায় প্রেসিডেন্ট কিরের সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাচার।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর