ওয়াশিংটন: প্রয়াত মানবাধিকার আন্দোলনের প্রবাদপ্রতিম নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের সম্মানে নতুন স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। খবর এএফপির।
দুইজন রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যোদ্ধাদের স্মরণে স্মৃতিসৌধের মাঝে এই স্তম্ভটি স্থাপিত হবে।
এক কোটি ২০ লাখ ডলার ব্যায়ে এই স্তম্ভটির নির্মাণ কাজ চলছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন স্যালাযার, প্রতিনিধি সভার সদস্য ইলেনর হোমস-নর্টন এবং ওয়াশিংটনের ভিনসেন্ট গ্রে বৃহস্পতিবার কাজের অগ্রসর অবস্থা দেখতে সেখানে যান। এছাড়া তারা স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরিতে দেরি হচ্ছে কেন এ বিষয়েও পর্যবেক্ষণ করেন।
২৮ ফুট বা ৮ দশমিক ৫ মিটার উচ্চতার এ স্মৃতিস্তম্ভে লুথার কিংয়ের ১৫টি উক্তি খোদাই করা থাকবে।
এই স্মৃতিস্তম্ভের কাজের সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ‘২৮ আগস্ট এই স্মৃতিস্তম্ভের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। ’ এই ভাস্কর্যের ১৫৯ টি খ- গত বছর স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করার জায়গায় নিয়ে আসা হয়।
১৯৫০-এর দশকের বাস বয়কট আন্দোলন, ১৯৬৩ সালের গণবিক্ষোভ ইত্যাদি কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মার্টিন লুথার কিং একটি কিংবদন্তী নাম। তার আন্দোলনে কারণেই ১৯৬৪ সালে সিভিল রাইটস অ্যাক্টস প্রণয়ন করতে বাধ্য হয় সরকার। সামাজিক পরিবর্তনের তার অবদান অবিস্মরণীয়।
১৯৬৮-এর এপ্রিলে টেনেসির মেম্ফিসে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৬৪ সালে তিনি মাত্র ৩৯ বছর বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১১