রিও ডি জেনিরো: ব্রাজিলের ভয়াবহ বন্যায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শনিবার তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক শুরু হয়েছে। এই ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬১০ জন নিহত হয়েছেন।
রিও ডি জেনিরো রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তেরেসোপলিসে উদ্ধার তৎপরতায় সেনাবাহিনীকেও নামানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এজিন্সিয়া ব্রাসিল জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। রিও ডি জেনিরোর প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, তারা সপ্তাহব্যাপী শোক পালন করবেন। গভর্নর সার্জিও কাবরাল বিপর্যয় কবলিত রাজ্যে ৭দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
উদ্ধার কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০০ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধার কর্মীরা।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, রিও ডি জেনিরোর পাশ্ববর্তী নোভা ফ্রিবুরগোতে ২৭৪ জন, তেরেপোলিসের পাশে ২৬৩ জন, পেট্রোপোলিসে ৫৫ ও সুমিনদৌরো অঞ্চলে ১৮ নিহত হয়েছে বলে এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
তেরেসোপোলিসে নেতৃত্বদানকারী কমান্ডার মেজর আলেকজান্দ্রে অ্যারাগন জানান, তারা উদ্ধার তৎপরতা, জনজীবন স্বাভাবিক করাসহ লুটপাট যেনো কেউ করতে না পারে সেই কাজটি করছেন।
ভয়াবহ দুর্যোগে অসুস্থ্যদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ১২০০ ডাক্তার কাজ করছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারী বর্ষণের ফলে এখনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে উদ্ধারকর্মীরা পৌছাঁতে পারছেন না। ভারী বষর্ণে হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নতুন প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে জরুরি ত্রাণ সাহায্যও।
খারাপ আবহওয়ার কারণে কিছু কিছু এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। সপ্তাহ ব্যাপী ভারী বষর্ণের জন্য ‘লা নিনা’ কে দায়ি করা হচ্ছে।
বন্যা ও ভূমিধসে সেরানা, পেট্রোপোলিস ও তেরেসোপোলিস, নোভো ফ্রিবুরগো শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারী ১৬, ২০১১