ঢাকা: কনকনে ঠাণ্ডা। পরনে জ্যাকেট।
যুক্তরাষ্ট্রে ঠাণ্ডার তীব্রতা বোঝানোর জন্য এপির এক ফটো সাংবাদিক ছবিটি তুলেছিলেন। কিন্তু ছাপানোর পরও তিনি জানতেন না তার এ ছবিই একটি পরিবারকে ফিরিয়ে দেবে তার হারানো সন্তানকে।
ছবির যুবকটির নাম নিকোলাস সিমনস। নববর্ষের প্রথম প্রহরে নিখোঁজ হন ২০ বছর বয়সী সিমনস। ওয়ালেট, মোবাইল ছাড়াই গাড়ি নিয়ে বাড়িতে থেকে বের হয়েছিলেন তিনি।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পাওয়ায় পুলিশকে জানায় তার পরিবার। পুলিশও অনেক খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি।
পাবেই বা কী করে? নিকোলাস সিমনসের বাড়ি নিউইয়র্কে গ্রিস শহরে। আর এপির আলোকচিত্রী ছবিটি তুলেছেন ওয়াশিংটন ডিসিতে।
ইউএসএ টুডে পত্রিকায় প্রতিবেদনসহ এপির আলোকচিত্রী জ্যাকুলিন মার্টিনের ছবিটি প্রকাশিত হয়। ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সিমনসের পরিবারের সদস্যদের চোখে পড়ে। আশ্রয়হীনদের মতো রাস্তায় বসে থাকা যুবকটি যে নিজের ছেলে তা চিনতে ভুল করেন নি সিমনসের মা।
তার বোন হান্নাহ সিমনস ইউএস এ টুডের প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নাতালি ডিব্লাসিও নামের ওই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘তোমার একটি প্রতিবেদনে আমার হারিয়ে যাওয়া ভাইয়ের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ’
নাতালি ডিব্লাসিও’র মাধ্যমে জ্যাকুলিন মার্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিসনস পরিবার। সিমনস পরিবার, এপির আলোকচিত্রী, ইউএস টুডের প্রতিবেদক, গ্রিস পুলিশের সহায়তা ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন পুলিশ সিমনকে খুঁজে পায়।
ফাস্টফুড দোকানো খণ্ডকালীন চাকুরে সিমনস কেন বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল তা জানায়নি তার পরিবার। কেনই বা তিনি রাস্তায় আশ্রয় নিলেন, সে উত্তরও মেলেনি। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভাইকে ফিরে যাওয়ায় টুইটারে মার্টিনকে স্বাগত জানিয়েছেন হান্নাহ সিমন। তিনি বলেছেন, তুমি আমাদের পরিবারকে রক্ষা করেছে। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৪
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর