ঢাকা: পকেটে টাকা নেই, ক্রেডিট কার্ডও সঙ্গে নেই। কেনাকাটা করে ফেলেছেন।
না, আপনার হাত ছোঁয়ানোর মাধ্যমে আপনি বিল পরিশোধ করতে পারবেন!
সামনের মাসে আপনার হাতে প্রযুক্তিবিদরা তুলে দিচ্ছেন এ যাদুর কাঠি। কল্পকথার যাদুর কাঠি ছোঁয়ালে যেমন সবকিছু সোনা হয়ে যেত তেমনি হাত ছোয়ালেই চলে আসবে টাকা।
জাপানভিত্তিক ফুজিৎসু ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পালসওয়ালেট যৌথভাবে ‘পালম সিকিউর’ নামে বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ‘পালম সিকিউর’ স্ক্যানারে হাতের তালু রাখলে সক্রিয়ভাবে ক্রেডিট কার্ড থেকে বিল পরিশোধ হবে।
২০০৫ সাল থেকে এ ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়া শুরু করে ফুজিৎসু। ফুজিৎসু বলেছে, তাদের এ ব্যবস্থায় ভুল হওয়ার সুযোগ ০.০০০০৮ শতাংশ। অর্থাৎ ৯৯.৯৯৯৯২ শতাংশ নির্ভুলভাবে কাজ করবে তাদের বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন যন্ত্রটি।
হাতে-হাতে টাকা দেওয়ার ঝুট-ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে আগে থেকেই নিবন্ধন করতে হবে আগ্রহী ব্যক্তিকে। আগুলের ছাপের মতো নাড়ির ছাপ বায়োমেট্রিক স্ক্যানারে দিতে হবে। এছাড়াও ক্রেডিট কার্ড নাম্বারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
যেখানে পালসওয়ালেট স্ক্যানারে রয়েছে সেখানে হাতে-হাতে টাকা না দিয়েই আগ্রহী ব্যক্তি কাজ সারতে পারবেন।
পালসওয়ালেটের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘আপনিই এখন আপনার ওয়ালেট। শুধু আপনার কাছে থাকা একমাত্র চাবি দিয়ে তা নিরাপদে রাখুন। ’
চলতি সপ্তাহে লাস ভেগাসে কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক্স শো’য় আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয় ‘পালম সিকিউর’ স্ক্যানারের। আগামী ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসবে এ স্ক্যানার। কত সংখ্যক স্ক্যানার ছাড়া হবে তা জানায় নি পালমওয়ালেট।
এর আগে ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাইনলাস কাউন্টির স্কুলগুলোয় একই ধরনের বায়োমেট্রিক পালম স্ক্যানার চালু করা হয়। যেসব শিক্ষার্থী দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের জন্য টাকা আনতে ভুলে যেতেন তারা পালম স্ক্যানারে হাত রেখে বিল পরিশোধ করতেন। তাদের বাবা-মায়ের ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা কাটা যেত।
বাংলাদেশ সময়: ০১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৪
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর