খার্তুম: সুদানের সপ্তাহব্যাপী চলা গণভোট স্বাধীন, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছভাবে শেষ হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে। খবর এএফপির।
সুদানে গণভোট শেষে বিদেশি পর্যবেক্ষণ মিশনের সবচেয়ে বড় দলটি সোমবার বলেছে সাউথ সুদান ‘সাফল্যের’ সঙ্গেই পৃথক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টারের প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টার এবং দ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) যৌথভাবে জানায় সপ্তাহব্যপী এই গণভোট ছিল বিশ্বাসযোগ্য।
সাউথ সুদানে ভোট গণনা শেষ হওয়া মাত্রই কার্টাট সেন্টার জানায়, ‘ভোট গণনার প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে বলা যায়, এর ফলাফল সুদানকে পৃথক করার পক্ষেই ছিল। সর্বোপরি গণভোটগ্রহণের পুরো প্রক্রিয়া সফল এবং আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হয়েছে। ’
দক্ষিণের রাজধানী জুবার আংশিক ফলাফলে দেখা যায়, বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে জুলাইয়ে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় এবং নতুনতম দেশ সৃষ্টি হবে। যদিও বিস্তীর্ণ যুদ্ধবিধস্ত অঞ্চলে সামনের মাসে ভোট না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত ফলাফল এখনও আশা করা যাচ্ছে না।
ইউ পর্যবেক্ষণ মিশন বলছে ভোটের কারণে আফ্রিকার দণি সুদানের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা মূলত নর্থ সুদানের আরব আদিবাসী, মুসলমানদের থেকে পৃথক হয়ে গেল। এর মাধ্যমে দীর্ঘ পাঁচ দশকের দ্বন্দ্বের ‘শান্তিপূর্ণ এবং বিশ্বাসযোগ্য’ সমাধান হল।
ইউ মিশনের প্রধান ভারনিউক দি কাইজার খার্তুমের একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাকে যদি এই গণভোটের পরিচালনা বিষয়ে সংক্ষেপে বলতে বলা হয়, তাহলে আমি বলব অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং স্বাধীন ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই বিশাল গনভোটের বিষয়ে বলেছেন, ‘সাউথ সুদানের মানুষ এবং তাদের নেতাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার এই দৃঢ়সংকল্প বিশ্বের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। ’
উল্লেখ্য, সাউথ এবং নর্থ সুদানের মধ্যে চলা গৃহযুদ্ধে (১৯৮৩- ২০০৫) ২০ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এরপর সাউথ সুদানকে ভিন্ন একটি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সপ্তাহব্যাপী গণভোট শনিবার শেষ হলে আশা করা যাচ্ছে এর মাধ্যমে এই দ্বন্দ্বের অবসান হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১১