ঢাকা: ইয়াং দংলান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এক সময় প্রসাধন সামগ্রী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
চীনের শিল্পপতি ও ধনবানরা নারী দেহরক্ষী রাখতে বেশ আগ্রহী। ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী চীনে একশ কোটির বেশি মার্কিন ডলার ধারী ব্যক্তির সংখ্যা ৩১৭ জন। সম্পদশালীর দিক যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে চীন।
ভালো বেতনের পাশাপাশি রোমাঞ্চকর হওয়ায় দেহরক্ষীর পেশা নারীদের পছন্দের অন্যতম কারণ। যেমনটি বলছিলেন ইয়াং দংলান, ‘আমি বসদের সঙ্গে বেরুতে পারি এবং অনেক কিছু দেখতে পারি। এটা চোখ খুলে দেওয়ার মতো। ’
তবে চাইলেই কারও দেহরক্ষী হওয়া যায় না। প্রশিক্ষণ নিতে হয়। বেইজিংভিত্তিক তিয়ানজিয়াও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা অ্যাকাডেমি দেহরক্ষী হতে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দেয়। ২০০৮ সালে স্থাপিত এ প্রতিষ্ঠানে নারী-পুরুষ সবাই প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। তাদের এ প্রশিক্ষণ প্রায় কমান্ডো প্রশিক্ষণের মতো। ঠাণ্ডা কাদা মাটিতে হামাগুড়ি দেওয়া, রশি বেয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো, আগ্নেয়াস্ত্র চালানো শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় দেহরক্ষী হতে আগ্রহীদের। অনেক সময় ২৪ ঘণ্টা নির্মুম কাটাতে হয় প্রশিক্ষণার্থীদের।
ইয়াংও তিয়ানজিয়াও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি এর আগে কখনও এতো পরিশ্রম করিনি। প্রথম প্রথম দৌড়ানোর সময় আমার শ্বাস নিতে সমস্যা হতো কিন্তু শেষ দিকে মানিয়ে নিয়েছি।
দূরদর্শী চেন ইয়োংকিং তিয়ানজিয়াও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা। সাবেক এ দেহরক্ষীর অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণার্থীদের শুধু কমান্ডো ট্রেনিং দেওয়া হয় না। অন্যান্য বিষয়ও জ্ঞান দেওয়া হয়।
ইয়োংকিং বলেন, আমরা শুধু আমাদের দেহরক্ষীদের শারীরিক প্রশিক্ষণ দেই না, মদের স্বাদ নেওয়ার মতো বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেই যেন তারা বসদের সঙ্গে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে পারেন।
অনেক সময় দেহরক্ষীরা শুধু দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করে না, অনেক সময় বসদের ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৪
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর