লন্ডন: ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি পার্টি) চেয়ারম্যান সাইদা ওয়ার্সির মতে, ইসলামভীতি এখন খাওয়ার টেবিলের পরীক্ষায় পাস করে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ব্রিটেনের মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া ওয়ার্সি এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের লিচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এখানে একইসঙ্গে তিনি মুসলমানদের ‘মধ্যমপন্থী’ এবং ‘চরমপন্থী’ এ দু’ভাগে বিভক্ত করে ফেলার যে প্রবণতা সে বিষয়ে সতর্ক করে দেবেন। কেননা এর মধ্য দিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এছাড়া গুটি কয়েক মুসলিম সন্ত্রাসীর হামলার কারণে ইসলামের সব অনুসারীদের দোষারোপ করার যৌক্তিকতা নিয়েও তিনি বক্তৃতা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বক্তৃতায় ওই কপি থেকে জানা যায়, ‘আমাদের দেশে যারা সন্ত্রাসী তৎপরতা চালায় তাদের আইনগতভাবে শাস্তি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিকভাবে তাদের প্রত্যাখ্যান করা ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত। একইসঙ্গে তাদের এ তৎপরতার সুযোগ নিয়ে সব মুসলামানকে দোষারোপ দেওয়া উচিত নয়। ’
‘স্কুলে শিশুরা বলবে আমাদের পাশের বাড়িতে মুসলমানরা থাকে কিন্তু তারা ততটা খারাপ নন। একইভাবে রাস্তায় যখন কেউ বোরকা পরা কোনো নারী দেখবেন তখন ভাববেন, এ নারী হয় নিপীড়িত বা দেশের রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরছেন। ’
একইসঙ্গে ব্রিটেনের গণমাধ্যমসহ অধিকাংশের ভাগ্যকে ব্যাখ্যা করার ভীতিকর, অতি কাল্পনিক পদ্ধতিরও সমালোচনা করবেন তিনি। কেননা এ ব্যাখ্যা ব্রিটেনকে বিশ্বাসীদের জন্য তুলনামূলক অসহিষ্ণু জায়গায় পরিণত করেছে।
গত বছর পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের ব্রিটেন সফরের সময় ওয়ার্সি প্রথম ইসলামভীতির ইস্যুটি জনসম্মুখে তুলে ধরেন। এসময় তিনি পোপের কাছে ইউরোপ ও মুসলিম নাগরিকদের মধ্যে তুলনামূলক উন্নত পারস্পরিক বোঝাপোড়ার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১১