প্যারিস: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অধিকারভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডার্স বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছে, নোবেলজয়ী লেখক অরহান পামুক ও আরও বেশ কয়েকজন সাহিত্যিক শ্রীলংকায় একটি সাহিত্য উৎসবে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে দেশটির দমনমূলক চেহারাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্যারিসভিত্তিক রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) জানিয়েছে, এটা খুব উদ্বেজনক যে, শ্রীলংকা এমন সময়ে সাহিত্য উৎসব করছে, যখন সেই বাক স্বাধীনতার ওপর দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে।
অরহান পামুকসহ বেশ কয়েকজন লেখক আগামী ২৬ জানুয়ারি শ্রীলংকায় অনুষ্ঠেয় সাহিত্য উৎসবে যোগ দিতে যাচ্ছেন। তুর্কি সংস্কৃতি বা চিন্তাধারাকে তাচ্ছিল্য করছেন বলে অরহান পামুকের বিরুদ্ধে তুরস্কে অভিযোগ রয়েছে। শ্রীলংকায় গালে শহরে উৎসবটি হতে যাচ্ছে।
আরএসএফ জানিয়েছে, শ্রীলংকার বর্তমান সরকার দেশের কার্টুনিস্ট, সাংবাদিক, লেখক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।
আরএসএফ শ্রীলংকার জার্নালিস্টস ফর ডেমোক্রাসি (জেডিসি) সঙ্গে যৌথ প্রচারণা চালাচ্ছে। এদের সমর্থন করেছেন বিশ্বখ্যাত বুদ্ধিজীবী, ভাষাতাত্ত্বিক নোয়াম চমস্কি, লেখক অরুন্ধতী রায়, চলচ্চিত্রকার কেন লোচ, অ্যান্টনি লিওয়েনস্টাইন ও তারিক আলি। গত দশকে শ্রীলংকায় ১৭ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
উৎসবে যোগ দিতে যাওয়া লেখকদের উদ্দেশে সংগঠনটি জানায়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আপনাদের মতো বিখ্যাত লেখকদের এ মুহূর্তে শ্রীলংকার সাহিত্য যোগ দিতে যাওয়া উচিৎ হয়নি। কারণ শ্রীলংকার সরকার বাক স্বাধীনতার ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। ’
অরহান পামুক ‘স্নো’, ‘ইস্তান্বুল’ ও ‘দ্য ব্ল্যাক বুক’ উপন্যাসগুলোর জন্য বিশ্বখ্যাত। এছাড়া মুসলিম ও পশ্চিমা সংস্কৃতির সংঘর্ষ নিয়েও তার উপন্যাস রয়েছে। তুরস্কে অরহান পামুক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১১