ওয়াশিংটন: পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে ঠেকাতে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তা চেয়েছিলেন ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই যুদ্ধের প্রথম দিন সাদ্দাম হোসেনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের নথিপত্র ইরাকের সরকারি মহফেজখানায় সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে আছে দুই হাজার ৩০০ ঘণ্টার বৈঠকের রেকর্ড এবং লাখ লাখ পৃষ্ঠার দলিলপত্র। ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্র এর সবই নিজেদের দখলে নেয়।
‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম’র ২০তম বার্ষিকীতে সাদ্দাম হোসেনের সিদ্ধান্তের তিনটি প্রতিলিপি বৃহস্পতিবার টেক্সাসের এক সভায় প্রকাশ করা হয়েছে। সংরক্ষিত দলিলের খুব ুদ্র অংশ জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল আকারে রূপান্তর করে প্রকাশ করাসহ গবেষণার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে যুদ্ধের ইতিহাস যত্ন সহকারে লিপিবদ্ধ করা হলেও উন্মোচিত তিনটি প্রতিলিপিতে মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন নেতা মিখাইল এস গর্ভাচেভের প্রতি সাদ্দামের ক্রোধ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অভিযান বিষয়ে তার ভুল ব্যাখ্যাসহ যুদ্ধের সময় ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা এখানে উঠে এসেছে।
এমনই এক তথ্য হলো- যুদ্ধের ময়দান থেকে আসা বিচ্ছিন্ন সংবাদে সাদ্দামের মনে এ ধারণা জন্মায় যে, এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জয়ী হওয়ার ক্ষমতা নেই। এমনকি ইরাকের চারজনের বিপরীতে একজন মার্কিন সেনা নিহত হন তারপরও তাদের পরাজয় নিশ্চিত।
এসময় তিনি তার সহকারীর কাছে খুব দৃঢ়তার সঙ্গে এ ভাষণ দেন যে, যুদ্ধ পরিকল্পনা বিনষ্ট করতে কুয়েতের তেলকূপে অগ্নিসংযোগ খুব কার্যকর একটি সেনা কৌশল।
এ সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক ইরাকি মক্কেলকে রক্ষায় গর্ভাচেভ খুব ব্যাকুলতা দেখান বলেও জানা যায়। একইসময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সমানভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবেই বুশ প্রশাসনের সঙ্গে তার সম্পর্ককে বিপদগ্রস্ত করে তোলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১১