ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

২০১০ সবচেয়ে উষ্ণতম বছর: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১১
২০১০ সবচেয়ে উষ্ণতম বছর: জাতিসংঘ

জেনেভা: জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়াসংক্রান্ত সংস্থা (ডব্লিউএমও) জানিয়েছে, ২০১০ সালকে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। এটি দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের প্রবণতা বলে নিশ্চিত করে সংস্থাটি।

খবর সিফির।

ডব্লিউএমও মহাসচিব মিশেল জারো বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তাপমাত্রার মাপকাঠিতে ১৯৯৮ ও ২০০৫ এই দুই সালকে র‌্যাংকিয়ে পেছনে দিয়েছে ২০১০। ’

ডব্লিউএমওর অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৬১-১৯৯০ সাল থেকে ২০১০ সালে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা দশমিক ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৫ সালের তুলনায় দশমিক শূন্য এক ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৯৯৮ সালের তুলনায় দশমিক শূন্য দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সিনহুয়া সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

মূলত ১৯৯৮ সালের পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ বছরগুলো রেকর্ড করার বিষয়টি উল্লেখ করে ডব্লিউএমও মহাসচিব বলেন, ‘এটা মূলত উষ্ণতার ধারাবাহিক প্রবণতারই প্রকাশ। ’

বিশ্বের বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রার বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে যা মূলত দীঘমেয়াদি উষ্ণতার প্রবণতাকেই তুলে ধরে।

এর মধ্যে আফ্রিকার কিছু অংশ এবং এশিয়ার দক্ষিণ ও পশ্চিমাংশ, গ্রিনল্যান্ড এবং আর্কটিক কানাডায় ২০১০ সালে তাপমাত্রা এর রেকর্ড অতিক্রম করে বলে ডব্লিউএমও সূত্রে জানা যায়।
 
অন্যদিকে, ইউরোপের দক্ষিণাংশ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্য-পূর্বাঞ্চলে গড় তাপমাত্রার তুলনায় অনেক শীতল আবহাওয়া অনুভূত হয়।

মূলত এল নিনো ও লা নিনাই অতিরিক্ত উষ্ণতা ও ঠান্ডার জন্য দায়ী বলে জাতিসংঘের বিশেষ এ সংস্থাটি জানায়।
আবহাওয়ার এ চরম অবস্থা ছাড়াও আর্কটিক অঞ্চলের আরও বরফ সমুদ্র গলে যাওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এ অঞ্চলের মাত্র এক দশমিক ৩৫ মিলিয়ন কিলোমিটার বরফাবৃত ছিল যা ১৯৭৯-২০০০ ডিসেম্বরের তুলনায় কম এবং সর্বনিম্ন।

ডব্লিউএমওর প্রধান সতর্ক করে বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে এ ঘটনাগুলোর মাত্রা আরও গভীর ও এর পরিমাণ আরও বাড়বে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।