ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের প্রথম টেলিভিশন বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের প্রথম টেলিভিশন বিতর্ক

ঢাকা: আগামী এপ্রিলে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরইমধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে।

নির্বাচন তিন মাস দূরে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের আদলে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা।
 

প্রথমবারের মতো মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও আর চার প্রতিযোগী টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে দেশ নিয়ে নিজের চিন্তা-পরিকল্পনার কথা জানান।
 

আফগানিস্তানের ‘তোলো নিউজ’ চ্যানেলে প্রচারিত বিতর্কে প্রাধান্য পায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাবুলের নিরাপত্তা চুক্তি ইস্যু।
 

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ায় দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই বলেন।  
 

বিতর্কের সময় এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীরা পরস্পরের যুক্তি খণ্ডন করেন।
 

কারজাইয়ের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ এপ্রিলের নির্বাচনকে ‘পরিবর্তনের সুযোগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ২০০৯ সালের নির্বাচনে কারজাইয়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ। তার বিশ্বাস, এপ্রিলের নির্বাচন আফগানিস্তানের জনগণের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি আনবে।
 

অন্য তিন প্রতিযোগী হচ্ছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আশরাফ ঘানি, কারজাইয়ের ঘনিষ্ঠ জালমাই রাসূল ও কারজাইয়ের বড় ভাই কাইয়ুম কারজাই।
 

কারজাই ব্যতিত অন্যান্য প্রার্থীরা ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তির পক্ষে কথা বলেন। কারজাই চুক্তি সইয়ে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, এটি তিনি তার উত্তরসূরির জন্য রেখে যেতে চান।
 

দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি (বিএসএ) এর আওতায় ন্যাটা বাহিনী ডিসেম্বরে চলে যাওয়ার পর ১০ হাজার মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন থাকবে।

জালমাই রাসূল বলেছেন, বিএসএ আফগানিস্তানে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনবে। কিন্তু আশরাফ ঘানি বলেন, শান্তির জন্য দু’পক্ষকেই নমনীয় হতে হবে।
 

বিদেশি সৈন্যের উপস্থিতিকে ইঙ্গিত করে কাইয়ুম কারজাই বলেন, তাদের প্রয়োজন রয়েছে। নির্বাচন জয়ী হলে তিনি চুক্তি সই করবেন।
 

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি সই না করলে ওবামা একজন মার্কিন সৈন্যও রাখবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।