কলকাতা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম সাহাপুর গ্রাম থেকে সোমবার রাতে অপহৃত বাংলাদেশি শিশু হিলাল হোসেনকে (১০) উদ্ধার করল পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি আধিকারিকরা ও তেহট্ট থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে ইনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘বরিশালের বরগুনার কাঠ ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তেহট্টের ডালিম বিশ্বাসের সখ্যতা ছিল বেশ আগে থেকে।
তিনি আরও বলেন, এর কয়েকমাস পরে সিউটি বেগম শিশুপুত্র ছাড়া বাংলাদেশে ফিরে আসেন। পরিবারের লোকজনকে সিউটি জানান তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বুড়িপোঁতা সীমান্ত পার করানো হয়। ডালিম তাকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। সেখানে তার শিশুটির নাম পরিবর্তন করে, দেওয়া হয় বাবু বিশ্বাস। গ্রামের লোকজনদের সিউটি তার মাসির মেয়ে বলে পরিচয় দেয়। তাদের ভয় দেখানো হয় যাতে তারা গ্রামের লোকদের আসল পরিচয় না দেয়। তাদের ওপর এই কারণে বিভিন্ন সময় অত্যাচার করত ডালিম।
এরপর লোক জানাজানি হলে ডালিম ওখান থেকে সিউটি ও হেলালকে নিয়ে বেশ কিছুদিন চাকদা ও রানাঘাট সহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। ৬ মাস আগে ডালিম সিউটিকে আবার অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু হেলালকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে। মোবাইলে মুক্তিপণ চাওয়া হয় ৫ লাখ রুপি।
মুজিবুর স্থানিয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতায় আসেন। তারা কলকাতার বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মুহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে শিশুটির মুক্তির জন্য আবেদন করেন। বাংলাদেশ উপদূতাবাস থেকে রাজ্য সিআইডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অবশেষে সোমবার রাতে ডালিম ও তার ৩ ছেলেকে সাহাপুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাওয়া যায় হেলালকে। আর দুএকদিনের মধ্যে হেলাল ফিরে যাবে তার মা-বাবার কাছে।
ভারতীয় সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১১