কায়রো: অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে এবার মিশরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তিউনিসিয়ার বিক্ষোভ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মঙ্গলবার পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কায়রোর রাস্তায় প্রতিবাদ শুরু করে কয়েক হাজার মানুষ।
কায়রোর শহরতলির সুপ্রীম কোর্টের সামনে জড়ো হন ১৫ হাজার প্রতিবাদকারীরা। এসময় তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লিখা ছিলো ‘তিউনিসিয়া হচ্ছে সমাধান। ’ প্রতিবাদকারীদের নিয়ন্ত্রণে এ সময় বহু সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় বলে বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিনিধি জানান।
এসময় ‘মোবারকের পতন হোক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে তারা পুলিশের বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে তাহরির চত্ত্বরের দিকে এগিয়ে যান। মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক গত তিন দশক ধরে দেশটির ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন।
এসময় শুধু রাজধানীর চারপাশেই কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয় বলে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপিকে জানান। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চারপাশও ঘেরাও করে রাখা হয়।
এপ্রিল ৬ মুভমেন্ট নামের গণতন্ত্রপন্থী একটি যুবদল পুলিশ দিবস উদযাপনের জন্য ঘোষিত জাতীয় ছুটির দিন প্রথম প্রতিবাদের ডাক দেয়। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাবিব আল-আদলিকে বরখাস্ত করা, কয়েক দশকের পুরানো জরুরি আইন বাতিল করা এবং ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করা।
গত ডিসেম্বরে তিউনিসিয়ার সড়ক বিক্রেতা মোহাম্মদ বুআজিজি (২৬) পুলিশের আচরণের বিরোধিতার করে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার জের ধরে পরবর্তীতে দেশটিতে দাঙ্গা-বিক্ষোভ শুরু হয় হয় এবং প্রেসিডেন্ট জাইন আল-আবিদিন বেন আলির ২৩ বছরের স্বৈরশাসনের নাটকীয় অবসান ঘটে।
এ ঘটনা সারা আরব বিশ্বে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে এবং বুআজ্জিজির ধারাবাহিকতায় অর্থনৈতিক মন্দা এবং দমনপীড়নের প্রতিবাদে মিসর, আলজেরিয়া, মৌরতানিয়া, মরক্কো, সৌদি আরব এবং সুদানের জনগণের মধ্যে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১১