কাঠমাণ্ডু: নেপালে নতুন সরকার গঠনে দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম বরণ যাদবের দেওয়া নির্ধারিত সময়সীমা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তবে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলমান বিরোধের অবসান না হওয়া এখনও পর্যন্ত তারা কোনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি।
রাজধানী কাঠমাণ্ডুর প্লাস গলফ রির্সোটে দেশের তিনটি বৃহৎ দলের সঙ্গে প্রায় ছয় ঘণ্টার আলোচনার পর বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী পদে সাবেক মনোনীত প্রার্থী রাম চন্দ্র পৌদেল। তবে এ আলোচনায় আবারও দলগুলো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সামনে পৌদেল স্বীকার করেন, ‘সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে। তবে আগামীকালও আমরা আলোচনা চালিয়ে যাবো। ’
পৌদেলের নেপালি কংগ্রেস পার্টিও প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সাত মাসের অচলাবস্থার পরও কমিউনিস্ট, তাদের মিত্র নেপালি কংগ্রেস, বিরোধী মাওবাদী দল এ পদের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।
তবে শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করলে এবং মে মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে নতুন সংবিধান ঘোষণায় সহায়তা করলে মাওবাদীদের নেতৃত্বে সরকার মেনে নিতেও প্রস্তুত বলে বুধবার ক্ষমতাসীন দুই দল জানিয়েছে।
দল দুটি মাওবাদী যোদ্ধাদের ক্ষমতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া ও ক্যান্টনমেন্ট খালি করার জন্য একটি তারিখ ধার্য করতে পরিকল্পনার জন্য চাপ দিয়ে আসছে।
২০০৬ সালে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে মাওবাদীরা পিপলস লিবারেশন আর্মি ভেঙে দেয় এবং ১০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটায়। এ যুদ্ধে ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। তবে এরপর থেকেই দলটি নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করে।
যাই হোক, ১৬ বারের প্রচেষ্টার পরও নতুন সরকার গঠনে ব্যর্থ হয় দেশটি। ফলে মঙ্গলবার সংসদ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ভুলক্রুটি সংশোধন করে।
নতুন নিয়মানুযায়ী ভবিষ্যতে তিন দফায় ভোট নেওয়া হবে এবং গত বছরের মতো এবার আর কোনো আইনপ্রণেতা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১১