কায়রো : সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করার সময় মিসরে পাঁচ শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিন বুধবার সারাদেশ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সামাজিক ওয়েব সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিক্ষোভকারীরা একত্র হয়েছে, এমন অভিযোগে সরকার ফেসবুক, টুইটার ও মিসরে খুবই জনপ্রিয় লাইভ ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট বামবুসারসহ সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা গেছে, তিউনিশিয়ার গণআন্দোলনের সফলতায় অনুপ্রাণীত হয়ে দেশটির তরুণরা সামাজিক ওয়েবসাইট ফেসবুক, টুইটারসহ বেশ কয়েকটি সাইটের মাধ্যমে মোবারক সরকারের দুর্নীতি ও অত্যাচারের কথা তুলে ধরে। বেকারত্ব ও দারিদ্র ঘোঁচাতে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রচার চালায়। ফেসবুকে গ্রুপ তৈরি করে দিনক্ষণ ঠিক করে তারা আন্দোলনে নামে। দেখা গেছে বিক্ষোভকারীরা সবাই তরুণ, মধ্যবিত্ত ঘরের এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
আরও জানা গেছে, ফেসবুকের ওই গ্রুপে দেশটির ৮০ হাজার তরুণ সরকার পতনের আন্দোলনে জড়িত হওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
বুধবার সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশজুড়ে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা হোসনে মোবারকের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যাপকহারে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের টিয়ার সেলের জবাবে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সারা দেশ থেকে পাঁচ শতাধিক বিক্ষোকারীকে গ্রেপ্তার করে।
প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের এটি ছিল দ্বিতীয় দিন। মঙ্গলবার বিক্ষোভের প্রথম দিনে পুলিশসহ তিন জন নিহত হয়।
বাংলাদেশ সময় : ০৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১