সানা: ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী দেশটির প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছে। গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে আলি আবদুল্লাহ সালেহ দেশটির ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন।
সানা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর অন্তত চারটি স্থানে অবস্থান নিয়েছে। এ সময় তারা সরকার বিরোধী সেøাগান দেয়। এতে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পরিণতির কথা তাদের মুখে শোনা যায়।
সংগঠকরা ছাত্র ও সুশীল সমাজের প্রতি এ বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। সরকারের দুর্নীতি ও অর্থব্যবস্থার বিরুদ্ধের তাদের এ বিক্ষোভ।
ইয়েমেনে রাজনৈতিক স্বাধীনতা নেই। দারিদ্র্যপীড়িত দেশটিতে তরুণদের সংখ্যা বাড়ছে। এর আগে দেশটিতে ছোট ছোট অনেক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কয়েকদিন আগে ইয়েমেনের সরকার বিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করার অভিযোগে নারী মানবাধিকার কর্মী তাওয়াকুল কারমানকে গ্রেপ্তার করে। এতে রাজধানী সানায় বিক্ষোভের তীব্রতা বেড়ে যায়। তবে গত সোমবার জেল থেকে ছাড়া পান কারমান। তিনি সিএনএনকে বলেন, তিউনিসিয়ার জেসমিন বিপ্লবে অনুপ্রাণিত হয়ে তার দেশেও একটি বিপ্লব হচ্ছে।
তিউনিসিয়ার বিক্ষোভে মুখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাইন আল-আবিদিন বেন আলির ২৩ বছরের শাসনের অবসান হয়। বেন আলি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আলজেরিয়া, মিশরসহ আরব অঞ্চলের অন্যান্য অঞ্চলে।
পশ্চিমাদের মিত্র প্রেসিডেন্ট সালেহ ১৯৭৮ সালে নর্থ ইয়েমেনের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। এরপর ১৯৯০ নর্থ ও সাউথ ইয়েমেন একীভূত হয়ে গেলে তিনি রিপাবলিক অব ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। সর্বশেষ ২০০৬-এ তিনি নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১