ঢাকা: ইউক্রেনের রুশপন্থী সরকারের পতনের পর বিরোধীদের ক্ষমতা দখলে অনেকটা অস্বস্তিতে রয়েছে রাশিয়া। রুশ নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনের বর্তমান অন্তর্বর্তী প্রশাসনের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ।
ইউক্রেন দ্বি-খণ্ডিত হওয়ার আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রতি এ যুদ্ধের মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইউক্রেন, বেলারুস, বাল্টিক রাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড ও আর্কটিক সীমান্তর্বতী রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘাঁটিস্থ সামরিক সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের নিকটবর্তী কৃষ্ণ সাগরে নিজের নৌঘাঁটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু বলেছেন, দেশের সামরিক নিরাপত্তার হুমকি মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন কমান্ডার-ইন-চিফ।
তবে তিনি বলেছেন, এর সঙ্গে ইউক্রেনের ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ইউক্রেনের রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচের ক্ষমতাচ্যুতের ঘটনার পর ক্রিমিয়া উপদ্বীপে চলছে রাশিয়াপন্থী ও বিরোধীদের সংঘর্ষ। বুধবার উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহতের খবরও পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সশস্ত্র ব্যক্তিরা ক্রিমিয়ায় আঞ্চলিক সরকারি সদর দফতর ও পার্লামেন্ট দখল করে নিয়েছে।
তবে কে বা কারা ভবনগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও ঘটনাস্থল থেকে রয়টার্সের এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ক্রিমিয়ার রাজধানী সিমফেরোপোলে উভয় ভবনে রাশিয়ার পতাকা উড়তে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪