ঢাকা, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০২ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

সহকর্মীকে পুড়িয়ে মারায় ভারতীয় কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫৫, জানুয়ারি ২৭, ২০১১
সহকর্মীকে পুড়িয়ে মারায় ভারতীয় কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ

মুম্বাই: ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সহকর্মীকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার প্রতিবাদে ৮০ হাজারেরও বেশি কর্মজীবী বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি পালন করেছেন। সন্দেহজনক জ্বালানি চুরির কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দেওয়ায় যশবন্ত সোনাবান নামের ওই ব্যক্তির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

খবর এএফপির।

মহারাষ্ট্র গেজেটেড অফিসারস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বিভীষিকাময় এ তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছে বলে ওই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট রবীন্দ্র ঢংগাড়ে জানান।

মুম্বাই থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরের নাশিকের কাছে একটি ট্যাঙ্কার থেকে কেরোসিন চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় মঙ্গলবার যশবন্ত সোনাবানের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার প্রতিবাদে পুরো রাজ্যে বিক্ষোভের আয়োহন করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বুধবার ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি গুরুতর অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় মুম্বাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানা যায়।

সোনাবান (৪২) অতিরিক্ত জেলা কালেক্টর হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ের বেসামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বেঁচে যাওয়া সোনাবানের সহযোগী বার্তাসংস্থা রাষ্ট্রীয় প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেন, মোবাইল ফোনে তার বস চুরির ঘটনাটি রেকর্ড করার পর তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

ভর্তুকির মধ্যে দিয়ে ভারতের সরকার কেরোসিন সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু ‘জ্বালানি মাফিয়া’ নামে পরিচিত একটি অপরাধী চক্র ট্যাংকার থেকে তা চুরি করে উচ্চমূল্যের পেট্রোলের সঙ্গে মিশিয়ে কম দামে বাজারে বিক্রি করে।

এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করাসহ এসব চক্রকে শনাক্ত করার বিষয়ে আশ্বাস দেয় মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পুলিশ দুই শতাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে বলে ভারতের গণমাধ্যম জানায়।

প্রতিদিন ২০০টি ট্যাংকার থেকে ৫ হাজার লিটারের মতো জ্বালানি চুরি করা হয় বলে টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন-আইবিএন জানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।