লন্ডন: দেয়ালঘেরা উদ্যানের এক দিক থেকে অন্যদিকে বড় বড় পা ফেলে দম্ভভরে এগিয়ে যাচ্ছে সে। নাদুসনুদুস, কিছুটা বিরক্ত এ গরিলাটি যেন ট্রেন ধরতে চাওয়া ব্যস্ত এক যাত্রী!
অধিকাংশ গরিলা যেখানে চার হাতে পায়ে ঘুরে বেরিয়েই খুশি, ধূসরপিঠঅলা আম্বাম নামের এ গরিলাটি এক্ষেত্রে বরং মানুষের মতো দু’পায়ে চলাফেরা করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে।
আর এভাবে পেছনের পায়ে ভর দিয়ে দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দিতে পারদর্শী চটপটে এ গরিলা তার রক্ষণাবেক্ষণকারীদের আনন্দ দেওয়াসহ মুগ্ধ দর্শকদের আকর্ষণ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
শুধু তাই নয়, মানুষের মতো হাঁটতে পারার কৌশল আয়ত্ত্ব করার পর ইন্টারনেটেও আম্বাম সম্পর্কে জানতে চাওয়ার প্রচ- আগ্রহ।
পোর্ট লিম্পনের মালিকানাধীন হাওলেটস পার্কে ১৯৯০ সালে আম্বামের জন্ম। সাত বছর বয়সে তাকে ইংল্যান্ডের কেন্টের পোর্ট লিম্পন ওয়াইল্ড অ্যানিমেল পার্কে নিয়ে আসা হয় এবং ২১৬ কেজি (৩৪ স্টোন) ওজন নিয়ে সে বর্তমানে পার্কের সবচেয়ে বড় গরিলা। আর যখন সে সোজা হয়ে দাঁড়ায় তখন তার উচ্চতা হয় পাক্কা ৬ ফুট।
সম্প্রতি আম্বামের একটি ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়। জনপ্রিয় সাইট ইউটিউবে প্রকাশিত চাঞ্চল্যকর এ ভিডিওতে দেখা যায় ২১ বছর বয়সী এ পুরুষ গরিলাটির দু’পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। গত কয়েক দিনে ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ অসাধারণ এ ভিডিওটি উপভোগ করেন।
সাধারণত বিশাল শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখার জন্য হাঁটার সময় গরিলা তাদের সামনের হাতেরও সাহায্য নেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আম্বাম যে সম্পূর্ণই ব্যতিক্রম তা বলাই বাহুল্য।
এ বিষয়ে ১৬ বছর ধরে আম্বামের তত্ত্বাবধানে থাকা ইনগ্রাইড নেইসবি বলেন, ‘গরিলাদের ক্ষেত্রে এটা সম্পূর্ণই অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনা। কিন্তু আম্বাম প্রায় সব সময়ই এমনটা করে থাকে এবং এক্ষেত্রে সে খুব ভালভাবে ভারসাম্য ধরে রাখতে পারে। অন্যান্য গেরিলাদের ক্ষেত্রে কালেভাদ্রে এ ধরনের আচরণ দেখা যায়। ’
‘সে সব সময়ই দু’পায়ে দাঁড়াতে পছন্দ করে। এক্ষেত্রে সে খুব পারদর্শী। এমনকি হাঁটার সময় সে চকিতে পেছন ফিরে দেখে কেউ তাকে লক্ষ্য করছে কি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১