ভিয়েনা: মিসরের সরকার বিরোধী প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ এলবারাদি। এ বিষয়ে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি তা গ্রহণে প্রস্তুত বলে বৃহস্পতিবার শান্তিতে নোবেল জয়ী এলবারাদি জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে সরকার বিরোধী এ বিক্ষোভে যোগ দিতে এরইমধ্যে কায়রোর উদ্দেশ্যে ভিয়েনা ছেড়েছেন তিনি।
ভিয়েনা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এলবারাদি বলেন, ‘যদি তরুণরা আমাকে নেতৃত্ব দিতে বলে তাহলে আমি তাদের হতাশ করবো না। বর্তমানে আমি শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন মিসর দেখতে চাই। ’
এদিকে সরকার বিরোধী প্রতিবাদের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার সুয়েজ ও ইসমাইলিয়া শহরে পুলিশের সঙ্গে শত শত বিক্ষোভকারীর সংঘর্ষ হয়।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ দলের সাবেক প্রধান ও মিসরের অন্যতম প্রধান ভিন্নমতাবলম্বী এলবারাদি শুক্রবার মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে চলমান এ প্রতিবাদে যোগ দিবেন।
প্রতিবাদকারীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাবো। এক্ষেত্রে সব কিছু নিয়মমাফিক ও শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা হবে আমার প্রধান লক্ষ্য। ’
গণগ্রেপ্তার ও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সত্ত্বেও গণতন্ত্রপন্থী কর্মীরা বৃহস্পতিবার মিসরে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সরকার বিরোধী প্রতিবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে এলবারাদি বলেন, ‘আমি অব্যাহতভাবে এ রাজ্যের শাসকদের সহিংসতা পরিহার করে দ্রুত প্রতিবাকারীদের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এখন পরিবর্তন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই, এ বাস্তবতাও তাদের মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
এর আগে বুধবার বিক্ষোভকারীরা সুয়েজ শহরের একটি দমকল বাহিনীয় কার্যালয়ে ককটেল ছোঁড়ে এবং অগ্নিসংযোগ করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা ৭৫ প্রতিবাদকারীর মুক্তির দাবিতে দমকল বাহিনীর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
মঙ্গলবার বড় আকারে মিসরে সরকার বিরোধী প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বার্তাসংস্থা এএফপির এক ফটোগ্রাফার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১