ঢাকা: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের ক্ষমতাচ্যুতিকে ‘সংবিধানবিরোধী ক্যু’ ও ‘সশস্ত্রভাবে ক্ষমতা দখল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় উপদ্বীপ ক্রিমিয়ায় সৈন্য পাঠানোর পর প্রথমবারের মতো এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, বৈধ সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনকে বিশৃঙ্খলার দিয়ে ঠেলে দিয়েছে।
দেশের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবদলের তিনটি বৈধ উপায় তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মৃত্যু, ব্যক্তিগত পদত্যাগ ও অভিশংসনের মাধ্যমে কেবল একটি দেশের প্রেসিডেন্টের পদ খালি হয়।
পুতিন দাবি করেন, বিরোধীদের সব দাবিই প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ মেনে নিতে রাজি হয়েছিলেন। তবুও তাকে সশস্ত্র উপায়ে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইয়ানুকোভিচকে এখনও ইউক্রেনের বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দাবি করেন পুতিন।
ক্রিমিয়ায় রুশ সৈন্যের উপস্থিতিতে ইউক্রেনে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে ক্রিমিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ার হামলা চালানোর ব্যাপারে ভীতি দূর করা হয়েছে মস্কোর পক্ষ থেকে।
পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ান সৈন্য পাঠানোর এখনও প্রয়োজন নেই। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সৈন্য মোতায়েনের অধিকার রয়েছে রাশিয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৪