ঢাকা: মিশরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মিশরের একটি আদালত এ নির্দেশ দিয়েছে।
একই সঙ্গে হামাসের কার্যালয় ও সম্পত্তি জব্দ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় হামাসকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে এক আইনজীবীর মামলার পর এ নির্দেশ দিল আদালত।
গত ডিসেম্বরে মিশরের অন্তর্বর্তী সরকার মুসলিম ব্রাদারহুডকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।
মিশরের আদালতের নির্দেশের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হামাসের এক সদস্য বলেছেন, কায়রোর ওই আদালত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফিলিস্তিনের জনগণ ও তাদের সাহসী প্রতিরোধকে ছোট করতেই এমন নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরব বসন্তের জেরে ২০১২ সালের ৩০ জুন ক্ষমতায় আসেন মিশরের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। এতে ফিলিস্তিনের সঙ্গে মিশরের সম্পর্ক বেশ উন্নত হয়। দুই দেশের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং খুলে দেয়াসহ ফিলিস্তিনের হামাস ও ফাতাহর মধ্যে বিভক্তি রোধে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে মুরসি
সরকার। আর সখ্যতা গড়ে উঠে ফিলিস্তিনের হামাস ও মুরসির দল ব্রাদারহুডের মধ্যে।
কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পেরুতেই ২০১৩ সালের ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে মিশরে সেনা সমর্থিত সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। সেই থেকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে মিশরের রাজনৈতিক দূরত্বে বেড়েছে। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর নানা রকম দমন পীড়ন ও নির্যাতনে ব্রাদারহুডকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। মিশরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাদের সব কার্যক্রম। এবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকেও নিষিদ্ধ করলো সেনা সমর্থিত কায়রোর আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৪