ঢাকা: দুই শিশুসহ ২২৮ যাত্রী ও ১২ জন ক্রুসহ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ হওয়া উড়োজাহাজে কোনো বাংলাদেশি নেই। চীনগামী উড়োজাহাজটিতে ১৪টি দেশের নাগরিক রয়েছেন।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের উড়োজাহাজে মালয়েশিয়ার ৩৮, চীনে ১৫৩, ইন্দোনেশিয়ার ১২, অস্ট্রেলিয়ার ৭, ফ্রান্সের ৩, যুক্তরাষ্টের ৪, নিউজিল্যান্ডের ২, ইউক্রেনের ২, কানাডার ২, রাশিয়ার ১, ইতালির ১, তাইওয়ানের ১, নেদারল্যান্ডসের ১ ও অস্ট্রিয়ার ১ নাগরিক রয়েছেন। এদের মধ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই শিশু রয়েছে। এছাড়াও উড়োহাজাহটিতে ১২ জন ক্রু রয়েছেন।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিংয়ের উদ্দেশে যাত্রার পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উড়োজাহাজটি।
বোয়িং ৭৭৭-২০০ সিরিজের উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় শুক্রবার দিনগত রাত ২টা ৪০ মিনিটে ভিয়েতনামের আকাশসীমায় নিখোঁজ হয়।
এর আগে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৪১ মিনিটে উড়োজাহাজটি ১৬০ জন চীনা নাগরিকসহ ১৩ দেশের যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। উড়োজাহাজটি সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে চীনের রাজধানীতে পৌঁছানোর কথা ছিলো।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা শুনতে পেয়েছেন চীনের নানমিংয়ে তাদের উড়োজাহাজটি অবতরণ করেছে। তবে এর কোনো সত্যতায় যাচাই করতে পারেন নি তারা।
এদিকে ভিয়েতনামের ওয়েবসাইট ভিএন এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ভিয়েতনামের সন্ধান ও উদ্ধার কর্মকর্তার উড়োজাহাজটির অবস্থান সনাক্ত করতে পেরেছেন। সংকেত অনুযায়ী তারা বলছেন, ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চলীয় কা মাউ প্রদেশের ১২০ নটিক্যাল মাইলে উড়োজাহাজ রয়েছে।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, উড়োজাহাজটির সন্ধান তারা করছেন। তাদের দল যাত্রী ও ক্রুদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ জৌহারি ইয়াইয়া বলেন, ‘আমার অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বেইজিংয়ের উদ্দেশে রাত ১২টা ৪১ মিনিটে কুয়ালালামপুর ত্যাগকারী এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারছি না। ’
তিনি বলেন, উড়োজাহাজের প্রধান পাইলট ফারিক হামিদের ২ হাজার ৮০০ ঘণ্টা উড়োজাহাজ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২৭ বছর বয়সী এ পাইলট ২০০৭ সাল থেকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে কর্মরত।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি ভিয়েতনাম নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমায় হারিয়ে যায়। প্রায় ১৬০ চীনা যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি চীন নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি এবং চীনের নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
১৯৮১ সাল থেকে সেবা প্রদানকারী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের সবশেষ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৯৫ সালে। ওই সময় এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ মালয়েশিয়ার তাওয়াউ শহরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।
গত ২০ বছরে বোয়িং ৭৭৭ কোনো ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়েনি। তবে ২০১৩ সালের জুলাইয়ে সান ফ্রান্সিসকো দুর্ঘটনায় ২৯১ যাত্রী ও ১৬ ক্রুবাহী ফ্লাইটটির তিনজন নিহত হয়।
**এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ নিখোঁজ
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা/আপডেটেড: ১১১৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৪