ঢাকা: জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ইতোমধ্যে পরিবেশে পড়তে শুরু করেছে। পরিবেশ দূষণে এর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় ইতোমধ্যে বিশ্ববাসীর হাঁসফাঁস শুরু হয়ে গেছে।
রোববার গবেষণা দলটির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, আবাদি জমির ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ আবাদী জমিই দূষণের শিকার।
গবেষকদের মতে, ২০০৫-২০১৩ সাল পর্যন্ত চীনের ১৬ দশমিক ১ শতাংশ মাটি এবং ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ আবাদী জমি দূষণের শিকার হয়েছে।
দেশটির ৬৩ লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকার জমির মাটি নমুনা হিসেবে পরীক্ষা করে দখা যায়, অধিক জনসংখ্যার চাপ ও সেই সঙ্গে গড়ে উঠা দ্রুত নগরায়ন, শিল্পায়ন ও শিল্প বর্জ্যসহ বেশ কিছু কারণ এই দূষণের জন্য মোটা দাগে দায়ী।
প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাটিতে ক্ষতিকারক পদার্থের মধ্যে ক্যাডমিয়াম, নিকেল ও আর্সেনিকের পরিমাণ বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়া, চীনের উন্নত কৃষি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সৃষ্ট কিছু সমস্যাকেও মাটি দূষণের জন্য দায়ী করা হয়। এ ক্ষেত্রে ফসলের পরিত্যক্ত মূল, লতাপাতা, কাণ্ড ও অন্যান্য অংশ, গবাদি পশুর মলমূত্র, অকেজো কৃষি যন্ত্রাংশ পচে গলে মাটিতে মিশে গিয়ে এ ধরনের দূষণের সৃষ্টি করেছে।
গবেষকরা বলেন, ফসলের জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করায় মাটি দ্রুতগতিতে দূষিত হয়ে পড়ছে।
সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, প্রতিবছর চীনে লাখোধিক টন কীটনাশক ব্যবহৃত হয়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। ভূমিক্ষয় ও জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া, শিল্প-কারখানার বর্জ্যসহ বিভিন্ন বর্জ্য মাটিকে চরমভাবে দূষিত করছে।
চীন সরকার এই দূষণ রোধে তাদের দূষণ প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়ের কর্ম পরিধি আরও বৃদ্ধি করছে বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৪