রোম: ইতালির রাজধানী রোমসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় হাজার হাজার নারী তাদের মর্যাদা ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে। খবর এএফপির।
বেশ কয়েক দিন ধরে বেরলুসকোনির বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে উঠেছে। এর মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্কের কথাও জানা গেছে।
পালের্মো শহরে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীদের প্লাকার্ডে লেখা রয়েছে, ‘আমরা নারীর মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছি। ’
হাজার হাজার নারী ব্যারি, ত্রিয়েস্তে ও ভেনিস শহরেও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। এতে অবশ্য পুরুষের অংশগ্রহণও ছিল উল্লেখযোগ্য মাত্রায়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেপলসের মেয়র রোসা রুসো ইয়ারভোলিনো বলেন, ‘নারী-পুরুষ, তরুণ-বৃদ্ধ, বুদ্ধিজীবী, শ্রমিক সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণই এ মিছিলের তাৎপর্য। ’
এ উদ্যোগ নিয়েছেন ফ্রান্সেসকা কমেনচিনি ও ক্রিস্টিনা কমেনচিনা নামের দুই বোন। তারা দুজনই অভিনেত্রী। তাদের মতে, বেরলুসকোনির যৌনতা সংক্রান্ত মন্তব্য ও প্লেবয়সুলভ পরিচিতি ইতালির সমাজে এখন বড় আকারের সমস্যা।
ক্রিস্টিনা বলেন, ‘ডানপন্থী বা বামপন্থী কোনো সরকারই কিছু করেনি। ’ আলজাজিরা টিভি চ্যানেলও তার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে।
ইতালিতে প্রতি পরিবারে ১ দশমিক ৪টি শিশু রয়েছে। জন্মহার ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তুলনায় অত্যন্ত কম। প্রতি দুইজনে একজন নারী চাকরি করেন (ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৫৯ শতাংশ নারী কর্মরত)। এতোকিছুর পরেও ইতালিতে পুরুষের তুলনায় শিক্ষিত নারীর সংখ্যাই বেশি।
ফ্রান্সেসকা কমেনচিনি মন্তব্য করেন, ‘বেরলুসকোনি তার নানা নারীবিদ্বেষী মন্তব্যে দীর্ঘদিন ধরে নারীর প্রতি অবমাননামূলক কথা বলে আসছে। ’
বেরলুসকোনির বিরুদ্ধে ১৭ বছর বয়সী যৌনকর্মী রুবি দ্য স্টিলারের সঙ্গে অর্থের সম্পর্ক স্থাপন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তবে বেরলুসকোনি ও রুবি এ অভিযোগ নাকচ করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১১