সুলাইমানিয়া: ইরাকের উত্তরাঞ্চলে সুলাইমানিয়া শহরের একটি আবাসিক হোটেলে এক ভয়াবহ আগুনে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ২৯ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী শিশুও রয়েছে।
শহরের সুলাইমানিয়া হাসপাতালের এক প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় ইরাকি ছাড়াও বাংলাদেশিসহ ১২ টি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিক মারা গেছেন।
হাসপাতালের পরিচালক রিকত হামা রশিদ বলেন, “এ ঘটনায় মোট ২৯ জন মারা গিয়েছেন যার মধ্যে ১৪ জন বিদেশি। ” তিনি আরো বলেন, “প্রাদেশিক সরকার সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। ” নিহত বিদেশিদের মধ্যে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ইকুয়েডর, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভেনেজুয়েলা, লেবানন, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বাংলাদেশেরও নাগরিক রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায় নিহত বাংলাদেশিরা হোটেলের কর্মী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আগুন ও ধোঁয়ায় হোটেলের কক্ষগুলি ভরে যাওয়ার পর অন্তত তিনজন প্রাণ বাঁচানোর জন্য হোটেলের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে মারা যান।
ঘটনার শিকার মিরওয়ান সাইদ (৩০) আগুন লাগার পর প্রথমে হোটেলের ছাদে ওঠেন। তারপর পাশের একটি নিচু ভবনে লাফিয়ে পড়ে জীবন বাঁচান। তিনি এএফপিকে বলেন, “যখন ধোঁয়া ঢুকতে শুরু করলো তখন আমরা হোটেলেই ছিলাম। লাফ না দিয়ে আমার আর কোনো উপায় ছিল না। ”
উদ্ধারকাজের প্রধান কর্ণেল আরাজ বাকর মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, অন্তত ৪২ জন আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে সাতজন অগ্নিনির্বাপণকর্মীও আছেন। নিহতদের অধিকাংশই ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা গেয়েছেন।
একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকেই এ আগুন লেগেছে । আগুনে হোটেলটিসহ আশপাশের কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুলাইমানিয়া শহরটি বাগদাদ থেকে ২৭০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। শহরটি স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের রাজধানী।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১০