ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরি ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরো দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে এখন পর্যন্ত ৬৪ জনের প্রাণহানির খবর জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধার অভিযানের তৃতীয় দিন শুক্রবার আট সদস্যের একটি ডুবুরি দল ফেরির ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন। ভেতরে কেউ জীবিত রয়েছেন কিনা তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
ফেরিটি ডুবে যাওয়ার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর এই প্রথম উদ্ধারকারী দল ফেরিতে প্রবেশ করতে সক্ষম হলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, ডুবুরিরা ডুবে যাওয়া ফেরিটির ডাইনিং হল ও ক্যাফেটেরিয়ায় তল্লাশি চালাচ্ছে। ফেরিটি সমুদ্রের গভীরে প্রায় ২৫ কিলোমিটার নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ডুবুরিরা।
নিখোঁজ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিবাবকরা এ ঘটনার জন্য ফেরির ক্যাপ্টেনকেই দায়ী করেছেন ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ডুবে যাওয়ার সময় ফেরির ক্যাপ্টেন ও কয়েকজন ক্রু ফেরি থেকে নেমে যান। তবে ডুবে যাওয়ায় পেছনে ফেরির ত্রুটিপূর্ণ অবস্থা বা ক্রুদের কোনো অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।
বুধবার ইনচিয়ন থেকে পূর্বাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ জেজুতে যাওয়ার সময় ৪৭০ জন যাত্রী নিয়ে ফেরিটি ডুবে যায়। যাত্রীদের ৩২৫ জনই ছিল স্কুল শিক্ষার্থী। এর আগে ১৯৯৩ সালে দেশটির পশ্চিম উপকূলে ভয়াবহ ফেরি ডুবিতে ২৯২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৪