ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড তার আত্মজীবনীতে স্মৃতিচারণা করে বলেছেন, সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে ইরাকের বাগদাদ এবং তিকরিত শহরে গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) রয়েছে, তার এমন দাবি ভুল ছিল। ইরাকে ডব্লিউএমডি আছে মূলত এমন অভিযোগেই যুক্তরাষ্ট্র বাগদাগে হামলা চালায়।
রামসফেল্ড এখন বলছেন, ‘আমি ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। ’ তিনি অঞ্চলগুলোকে ‘সন্দেহভাজন’ বলে মনে করছেন।
বুশের শাসনামলে রামসফেল্ড একজন অন্যতম বিতর্কিত ব্যক্তি ছিলেন। তার লেখা এই আত্মজীবনী দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। এর একটি সংস্করন দ্য গার্ডিয়ান সম্প্রতি অগ্রিম সংগ্রহ করে কিছু অংশ প্রকাশ করেছে।
৮১৫ পৃষ্ঠার এই আত্মজীবনীতে রামসফেল্ড জানা-অজানা অনেক ঘটনার কথাই তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে বুশ প্রশাসনের ইরাক হামলা থেকে শুরু করে গুয়ানতানামো কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাসের কথাও পুনরায় বর্ণনা করা হয়েছে।
একটি সংবাদ সম্মেলনে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের (ডব্লিওএমডি) ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি ২০০৩ সালে ইরাক হামলার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, তিনি স্বাভাবিকভাবে আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে সংযমী মনোভাব ধরে রাখেন কিন্তু এই ক্ষেত্রে তিনি ভুল করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি সেগুলো (ডব্লিউএমডি) কোথায় আছে। এগুলো তিকরিত এবং বাগদাদের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়েই আছে। বুশ প্রশাসন কিভাবে জনগণকে ভুল পথে নিচ্ছে তার উদাহারণ দিতে আমার কথা অনেক সময়ই সমালোচনার সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। ’
যুদ্ধের সমালোচনা করে তিনি বুশ প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে তিনি এই আত্মজীবনীতে লেখেন, ছোট একটি মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে এই প্রশাসন একটি ইচ্ছাকৃত ভুল করেছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন কিছু ভুল করছিলাম তখন প্রশাসনের অন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইরাকের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে স্বচ্ছ তথ্য দিয়েছে। ’
এছাড়া তিনি লুটপাট নিয়ে গণমাধ্যমের অতিরিক্ত প্রচারের বিষয়ে নিন্দা জানান। তিনি আরও জানান, এ সময় খুবই অল্প পরিমাণে সোনা-রূপার জিনিস লুট করা হয়েছিল, কিন্তু এগুলো গণমাধ্যমে উঠে আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১১