কায়রো : বেসামরিক প্রশাসনের কাছে শিগগিরই ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি নাকচ করেছে মিশরের সেনাবাহিনী। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর হাতেই ক্ষমতা থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বেসামরিক প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের প্রবল দাবি নাকচ করে দিয়ে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিক্ষোভকারীদের তাহরির স্কয়ার থেকে সরে যেতেও বলা হয়েছে।
মিলিটারি পুলিশের প্রধান মোহামেদ ইব্রাহিম মুস্তাফা রোববার বলেছেন, ‘আজকের পর আমরা তাহরির স্কয়ারে আর কোনো বিক্ষোভকারীকে দেখতে চাই না। ’
রোববার মিলিটারি পুলিশ তাহরির স্কয়ার থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিছু বিক্ষোভকারী সরে যেতে চাইলেও বেশিরভাগই কঠোরভাবে তা প্রত্যাখ্যান করে। সেনা শাসকরা যতদিন গণতান্ত্রিক উপায়ে গঠিত বেসামরিক প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া না শুরু করবে, ততদিন পর্যন্ত তারা তাহরির স্কয়ার থেকে না সরার কথা জানিয়ে দেয়।
মাহমুদ নাসার নামে বিক্ষোভকারীদের এক নেতা বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে। আমরা এখানেই অবস্থান করব। সবাইকে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
সেনা কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী ছয় মাস বা তারও বেশি সময় সেনাবাহিনীই অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে ক্ষমতায় থাকবে। নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচনের পর বেসামরিক প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
এই সময়ের মধ্যে তাদের হাতেই আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
রোববার মিশরের নতুন সেনা শাসকরা সদ্য উৎখাত প্রেসিডেন্ট মোবারকের ক্ষমতাসীন দলের কতৃত্ববাদী পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে। একইসঙ্গে সংবিধানও স্থগিত করা হয়।
মিশরে টানা ১৮ দিনের গণবিক্ষোভের পর শুক্রবার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ৩০ বছর ধরে মিশরের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক।
বাংলাদেশ সময় : ০৪২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১