কায়রো: মিশরের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা দেশের সাইবার কর্মীরা দেশের নতুন সেনা শাসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তারা শাসকদের সঙ্গে দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন বলে সোমবার কর্মীরা (সাইবার অ্যাক্টিভিস্ট) জানিয়েছেন।
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের নির্বাহী কর্মকর্তা ও গণতন্ত্রপন্থী ওয়ায়েল ঘোনিম এবং ব্লগার অমর সালামা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মূলত সেনাবাহিনীর দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে এবং আমাদের দাবি পেশ করতে আমরা সেনাবািহনীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। ’ মিশরের বিক্ষোভ আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা একটি ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার আটজন কর্মী মিশরের সেনাবাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিলের জেনারেল মোহাম্মদ হেগাজি এবং জেনারেল আবদেল ফাতাহ নামের দুই সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেন।
মিশরের সাম্প্রতিক বিক্ষোভের আগে ২০ জন জেনারেল নিয়ে গঠিত এ সুপ্রিম কাউন্সিল দেশের জনগণের কাছে পুরোপুরিই অপরিচিত ছিল।
সাইবার কর্মীদের সঙ্গে শাসকদের এ সাক্ষাতের ঘটনা পুরোপুরিই মোবারকের শাসনের বিপরীত। তরুণ এ কর্মীরা ক্রমেই দেশের বিরোধী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে বলে শাসকরা ধীরে হলেও বুঝতে সক্ষম হচ্ছেন।
সেনা সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বিষয়ে ঘোনিম ও সালামা বলেন, ‘তাদের মিশর শাসনের কোনো ইচ্ছা নেই এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে। ’
একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সাংবিধানিক সংশোধনের মধ্য দিয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে গণভোটের আয়োজন করা হবে বলেও তাদের জানানো হয়।
এ লক্ষ্যে রোববার দেশে বিদ্যমান মোবারক সরকারের বিলুপ্তি ও সংবিধান বাতিল করেন সেনা শাসকরা।
তবে সাক্ষাৎ বিষয়ে মন্তব্য করতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সেনা কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি এবং কর্মীরাও এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১