লন্ডন: যুক্তরাষ্ট্রের ৬১ বছর বয়সী এক নারী তার নিজ নাতির জন্ম দিয়েছেন! আশ্চর্য শোনালেও ঘটনাটা সত্যিই এরকম। তিনি তার মেয়ের সারোগেট মায়ের ভূমিকা পালন করেছেন কেবল।
নিজ নাতীকে গর্ভে ধারণ করা ওই নারীর নাম ক্রিস্টিন কেসি। ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের তিনিই সবচেয়ে বেশি বয়সী নারী যিনি ‘সন্তান’ জন্ম দিলেন। তার মেয়ে সারা কনেল বেশ কয়েক বছর ধরেই বাচ্চা জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সারার জরায়ুতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এগিয়ে আসেন কেসি।
সারা ও তার স্বামী বিল নবজাতকের জৈব বাবা-মা। তাদের ছেলে সন্তানটির নাম রাখা হয়েছে, ফিনিয়ান লি কনেল। সন্তান প্রসবের সময় ৩৫ বছর বয়সী প্রভাষক কনেল তার মায়ের হাত শক্ত করে ধরে ছিলেন।
এই পুরো প্রক্রিয়ায় সারার ডিম্বাণু ও বিলের শুক্রাণুর মধ্যে নিষেক ঘটানো হয়। পরে নিষিক্ত ভ্রুণ কেসির গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।
কনেল বলেন, তার মা সর্বশেষ ৩০ বছর আগে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। এক সময় তিনি তার মাকে সন্তান গর্ভে ধারণ করার অনুরোধ করেন এবং মা রাজি হয়ে যান। এর আগে সন্তান ধারণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন কনেল। ২০০৪-এ তিনি আইভিএফ চিকিৎসা নেন এবং দুটি যমজ মৃত সন্তান দেন। পরে এরকম ঘটনা আরেকবার ঘটে।
কনেল বলেন, সন্তানের প্রথম কান্না শোনার পর তিনি তার আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি সন্তানের আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এটা একটা অলৌকিক ব্যাপার। ’
ভার্জিনিয়ার অধিবাসী কেসি বলেন, তার মেয়েকে সহায়তা করতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন মেমোরিয়াল হসপিটালের ধাত্রিবিদ্যাবিশারদ সুসান গারবার বলেন, ‘সন্তান জন্ম দেওয়ার এ ঘটনাটি আবেগের দিক থেকে অত্যন্ত গভীর। ’ এ হাসপাতালেই শিশুটির জন্ম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১