ব্রাসিলিয়া: আমাজন জঙ্গলের ইন্ডিয়ানরা তীর-ধনুক নিয়ে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে, শিকারে যায়। মাথায় পাখির পালকের অলংকার।
এসব হচ্ছে অ্যাওয়া উপজাতির বর্ণনা। এই যাযাবর গোষ্ঠী অ্যামাজন জঙ্গলের একদম গহীনে বাস করে। একদিকে এরা তাদের ঐতিহ্যগত জীবনযাপন আঁকড়ে রাখতে চায়, অন্যদিকে নির্বিচারে বনউজাড়ের ফলে এতে ছন্দপতন ঘটে। ঐতিহ্যরক্ষার লড়াইয়ে এরা প্রতিনিয়তই হারছে।
বেঁচে থাকার জন্য তারা জঙ্গলের ওপর নির্ভরশীল। কখনো হুমকির সম্মুখীন হলে এরা বনের গহিনে লুকিয়ে যায়। ধীরে ধীরে বন উজাড়ের সেই জায়গাটুকুও হারিয়ে যাচ্ছে।
কাঠ চোরাকারবারিরা কাছাকাছি কোথাও লুটপাটে নেমেছে বুঝতে পারলে সব অ্যাওয়া সদস্য শিকার করা বন্ধ করে দেয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই অধিবাসীরা ২০০৯ সালে বন উজাড় হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্রাজিলের ইন্ডিয়ান অ্যাফেয়ারস ডিপার্টমেন্ট (ফুনাই)-এর গবেষকদের তথ্য মতে, অ্যাওয়া অধ্যুষিত অঞ্চলের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জঙ্গল অবৈধভাবে কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়া এ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে ২৫ বছর আগে রেলপথ স্থাপন করার ফলে এর ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
পশুপাখি, ফলমুল, কোনো খাদ্যদ্রব্যই এখন আর আদিবাসীদের জন্য সহজলভ্য নয়। এক ব্রাজিলিয়ান নৃতত্ত্ববিদ জানায়, আদিবাসীরা গণহত্যার শিকার হচ্ছে। ফুনাই আনুষ্ঠানিকভাবে গ্লোবো টিভিকে জানায়, সরকার যদি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তা আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১১