মানামা: বাহরাইনে সোম ও মঙ্গলবার হাজার হাজার তরুণ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। বিক্ষোভকারীর নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশটিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এর প্রতিবাদে শিয়া সম্প্রদায়ের দেশের প্রধান বিরোধী দল সংসদ ত্যাগ করেন। শাসন ক্ষমতার পরিবর্তনের দাবি জানায় ক্ষুব্ধ অনলাইন কর্মীরা (সাইবার অ্যাক্টিভিস্ট)।
এক টেলিভিশন ভাষণে মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাহরাইনের রাজা। একইসঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়ে এর তদন্তের আশ্বাস দেন তিনি।
রাজা হামাদ বিন আল-খলিফা বলেন, ‘গতকাল ও আজ দুজনের নিহত হওয়ার ঘটনায় আমি তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। এ ঘটনার তদন্তে আমি উপপ্রধানমন্ত্রী জাওয়াদ আল-ওরায়েদকে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি। ’
এদিকে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি ঘটায় এবং শিয়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণের কারণে দুজনের মৃত্যুর প্রতিবাদে সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির পার্লামেন্ট থেকে শিয়া সাংসদরা বেরিয়ে আসেন বলে এমপি খলিল আল-মারজুক টেলিফোনে বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান।
মঙ্গলবার এক হাসপাতালের সামনে ফাদেল সালমান মাতরুককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় শোকার্ত ব্যক্তিরা বিক্ষোভে নিহত আলি শেমাহর জানাজায় যোগ দেওয়ার জন্য সেখানে সমবেত হয়েছিলেন। এর আগে সোমবার মানামার পূর্বের এক গ্রামে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার সময় আলি নিহত হন। নিহত দুজনকে ‘শহীদ’ বলে উল্লেখ করেন মারজুক।
দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় দেশটিতে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নিহত দুজনের ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করেন এবং আরও বড় আকারের বিক্ষোভের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১১