বেইজিং: আরব বিশ্বে চলমান আন্দোলন এবং তিউনিসিয়া-মিশরের বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ হয়ে চীনেও এবার ইন্টারনেটে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এরইমধ্যে কয়কজনকে আটক করেছে সরকার।
মধ্যপ্রাচ্যের জেসমিন বিপ্লব খ্যাত সরকারবিরোধী এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের লক্ষ্যে গণজমায়েতের ডাক দেওয়ায় কয়েকজন মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে চীনা সরকার। প্রচারভিযানের অংশ নেওয়া একাধিক ব্লগার রোববার এ দাবি করেছেন।
তারা জানান, শনিবার থেকে প্রায় ১৫ জন চীনা মানবাধিকার আইনজীবী এবং কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। আর এরপর থেকেই সরকার গণআন্দোলন সম্পর্কিত যেকোন ইন্টারনেট পোস্ট সেনসর করছে।
এমন একটি ব্লগে লেখা হয়, ‘বিক্ষোভে অংশ নিতে আমরা স্বাগত জানাই কর্মবিরতি দেওয়া শ্রমিকদের, যারা জোরপূর্বক উচ্ছেদ হয়েছেন তাদের। উচ্চে স্লোগান দাও এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনো, একদলীয় শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে চাই গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক সংস্কার। ’
এরকম অসংখ্য পোস্ট ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটে এখন প্রকাশিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে চীন থেকে বহিষ্কৃত একাধিক মানবাধিকার কর্মীর ব্লগও রয়েছে। ব্লগে বেইজিং, সাংহাই, গুয়াংঝু এবং আরও ১০টি বড় বড় শহরে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হচ্ছে।
ব্লগে ‘আমরা খাবার চাই’, ‘কাজ চাই’, ‘বাসস্থান চাই’, ‘চাই সুবিচার’, ‘স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক’, এবং ‘গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক’ এমন স্লোগানে মুখরিত হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত একাধিক কর্মী অভিযোগ করেছেন, এ ব্লগগুলো প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য বিরোধী রাজনীতিক এবং মানবাধিকার আইনজীবীকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।
সম্প্রতি আটককৃত অনেক কর্মীর কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে গৃহবন্দি এবং অনেকের মোবাইল যোগাযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার অ্যাটর্নি নি ইউলান এএফপিকে এ কথা জানান। পুলিশ তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
চীনে ওয়েইবু নামের ব্লগ সাইটটিতে জেসমিন লিখে সার্চ দিলে কোনো ফলাফল দেখাচ্ছে না। সে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন বাইদুতে নিয়ম বহির্ভুত হওয়ায় এমন ফলাফল দেখানো সম্ভব হচ্ছে না এমন বার্তা দিচ্ছে। এমনকি জেসমিন পোস্টিংয়ের সঙ্গে লিঙ্কযুক্ত ব্যক্তিগত পাতাগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১১