ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জুতার দুর্গন্ধ নিয়ে আর ভাবনা নয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১১
জুতার দুর্গন্ধ নিয়ে আর ভাবনা নয়

লন্ডন: পায়ের দুর্গন্ধের ভয়ে জনসমক্ষে জুতা খুলতে ভয় পান। ভরা মজলিশে জমাট আড্ডাতে নিঃসঙ্কোচে বসতে অসস্তি বোধ হয়।

পরিবারে বা বন্ধুদের সঙ্গে বসবাসে অনেক সময়ই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ান। এমন হতভাগাদের জন্য একটি সুখবর আছে। এখন তারা কোন প্রকার সঙ্কোচ ছাড়াই যে কোন স্থানে জুতা খুলে আয়েশ করে বসতে পারবেন। সব আড্ডায় সানন্দে গৃহীত হবেন। এটা শুধু আশার বাণী নয়। বাস্তবে এমন একটি যন্ত্র কৌশল আবিষ্কার করেছেন কয়েকজন মার্কিন উদ্ভাবক।

ডেইলি মেইলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন উদ্ভাবক দাবি করেছেন তারা স্টেরিসু নামে বিশেষ ধরনের একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন যা জুতার দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করবে। এ কাজে ব্যবহার করা হবে অতিবেগুনি রশ্মি।

অতিবেগুনি রশ্মি (আলট্রা ভায়োলেট রে) ক্ষততে সংক্রমণ রোধে হাসপাতালে, দাঁতের অপারেশনে, সুইমিং পুল জীবাণুমুক্ত রাখতে এবং পানি শোধনাগারে ব্যবহার করা হয়। তবে দুর্গন্ধ দূর করতে এর ব্যবহার এই প্রথম।

যন্ত্রটি দেখতে ঠিক জুতার ছাঁচের মতো। এটি জুতার মধ্যে ঢুকিয়ে শুধু সুইচটি অন করে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার জুতার সব দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

উদ্ভাবকদের দাবি, একজন মানুষের একটি পা থেকে প্রতিদিন গড়ে শূন্য দশমিক ২৩৬ লিটার ঘাম ঝরে। স্টেরিসু মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে প্রায় ৯৯ দশমিক ৯ ভাগ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম।

তারা বলছেন, যাদের পা অত্যধিক ঘামে, নখের ডগা ছত্রাক আক্রান্ত অথবা পায়ে দুর্গন্ধ হয় তাদের খুব কজে লাগবে এটি। যন্ত্রটি অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিজোড়ার মূল্য পড়বে ৮০ পাউন্ড।

উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সু কেয়ার ইননোভেশনের কর্মকর্তা রেইনার কুয়েলিং জানান, স্টেরিসু কোন প্রকার রাসায়নিকমুক্ত উপায়ে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের একটি যন্ত্র। জুতার দুর্গন্ধ দূর করতে এবং বেশি ঘামে এমন পায়ে সংক্রমণ ঠেকাতে এর ব্যবহার বেশ কার্যকরী এবং ঝঁকিমুক্ত বলে সুপারিশ করেছেন ডাক্তররা।

তিনি বলেন, জুতা জীবাণুমুক্তকারী এ যন্ত্রটি অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার করে যে কোন প্রকার অনুজীব ধ্বংসে কার্যকরী। যারা জুতা সব সময় স্বাস্থ্যকর রাখতে চান বা দুর্গন্ধজনিত সমস্যায় অতিষ্ট তাদের জন্য এটি আদর্শ যন্ত্র হতে পারে।

এটি সিডার কাঠ (পাইন জাতীয় গাছ) দিয়ে তৈরি। এতে করে যন্ত্রটি আর্দ্রতা এবং দুর্গন্ধ শোষণ করে জুতাকে সব সময় বাজে গন্ধহীন এবং স্বাস্থ্যকর রাখবে। শরীরের সরাসরি সংস্পর্শে এসে যাতে অতি বেগুনি রশ্মি ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য স্টেরিসুতে রয়েছে একাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

তবে একে কার্যকর করতে হলে সম্পূর্ণ অন্ধকার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে এর চারদিকে সংযুক্ত সেন্সরগুলি প্রথমে পরিবেশ যথেষ্ট অন্ধকার কিনা তা নিশ্চিত করবে। এর পরেই অতিবেগুনি রশ্মি কার্যকরী হবে।
যন্ত্রটি ক্রয়ের সঙ্গে আরও কিছু ছোট যন্ত্র দেয়া হচ্ছে যা ছত্রাক আক্রান্ত পায়ের ডগা এবং স্যান্ডালেও ব্যবহার করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।