জেরুজালেম: সুয়েজ খালের কাছে ইরানের ২টি যুদ্ধ জাহাজের অবস্থান উদ্বিগ্ন করে তুলেছে ইসরায়েলকে। ভূমধ্যসাগরে দুইটি যুদ্ধ জাহাজ প্রেরণকে ইরান তাদের রুটিন কাজের অংশ বললেও বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে ইসরায়েল।
মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে রোববার তিনি বলেন, ইরানি যুদ্ধজাহাজের এ গতিবিধিকে ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শন হিসেবে বিবেচনা করছে ইসরায়েল।
নেতানিয়াহু বলেন, এ অঞ্চলে চলমান অস্থিতিশীলতার সুযোগে ইরান এখানে তার প্রভাব বিস্তার করতে সচেষ্ট হচ্ছে। সুয়েজ খালে ২টি যুদ্ধ জাহাজ প্রেরণ তারই ইঙ্গিত বহন করে। প্রধান কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসরাইয়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদোর লিবারম্যান একে উস্কানিমূলক বলে বর্ণনা করেছেন।
ভূমধ্যসাগরের এ গুরুত্বপূর্ণ জলপথ দিয়ে সিরিয়ার পথে যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে যেতে ইরানকে অনুমতি দিয়েছে মিশর। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর এই প্রথম কোনো ইরানি যুদ্ধ জাহাজ সুয়েজ খাল অতিক্রম করার অনুমতি পেল। তবে একে সীমিত সময়ের জন্য বলে জানিয়েছেন ইরানের এক জন কূটনীতিক।
নাম উল্লেখ না করা ওই কূটনীতিক বলেন, ইরান-সিরিয়া সহযোগিতার অংশ হিসেবেই এ জাহাজ পাঠানো হচ্ছে। আর তা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে জাহাজ দু’টি সিরিয়ার বন্দরে কয়েকদিন অবস্থান করবে। ইতিমধ্যে আমাদের জাহাজ ওমান ও সৌদি আরবসহ একাধিক বন্ধু দেশ পরিদর্শন করেছে।
সুয়েজ খাল বিষয়ক কর্তৃপক্ষের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে রোববার জানিয়েছেন, কোনো যুদ্ধজাহাজ এখনো আমাদের জলসীমায় পৌঁছায়নি। ইরানের টেলিভিশনে জানানো হয়েছে তাদের জাহাজ এখনো ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করছে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের প্রধান আহমেদ আল-মানাখলি বলেন, কোনো ইরানি জাহাজ এ পর্যন্ত খাল অতিক্রম করেনি। আজ তো নয়ই গতকাল বা তার আগেও নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১১