জেনেভা: জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে শুক্রবার লিবিয়াকে বহিষ্কার করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে দেশটিতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের আন্তর্জাতিক তদন্তেরও আহ্বান জানানো হয়।
মূলত লিবিয়ার সহিংসতা নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে আয়োজিত বিশেষ এ অধিবেশনে লিবিয়ার কর্তৃপক্ষের মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ৪৭ সদস্যদের মধ্যে বিতর্ক হয়।
এসময় মনোনীত খসড়াতে লিবিয়াকে জাতিসংঘের পরিষদ থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় বলে বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়।
একইসঙ্গে এ খসড়াতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় আন্তর্জাতিক কমিশন কর্তৃক দ্রুত লিবিয়ার সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সংঘটিত হামলার স্বাধীন তদন্তের দাবিও জানানো হয়।
লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মের গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর বিক্ষোভকারীদের উপর বোমা হামলা এবং গুলি চালানোর ঘটনায় ক্ষুব্দ জাতিসংঘের ৫০টি সদস্য রাষ্ট্র চলতি সপ্তাহে বিশেষ এ অধিবেশনের অনুরোধ জানিয়ে স্বাক্ষর করে।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশেষ অধিবেশন আয়োজনের ঘটনা এটাই প্রথম। স্থানীয় সময় সকাল দশটায় এ অধিবেশন শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ সভায় লিবিয়া বিষয়ে একটি খসড়া প্রণীত হয়। এতে লিবিয়ার সদস্য পদ বাতিল করাসহ হামলার সঙ্গে জড়িতদের আটকের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়।
এ খসড়া নিয়ে শুক্রবারও আলোচনা হবে বলে জানা যায়। তবে এতে কিছু পরিবর্তন আনা হবে বলে বেশ কয়েকজন পর্যবেক্ষক ধারণা করছেন।
এদিকে আরব ও আফ্রিকার যে সব দেশে প্রায়ই সরকারি বাহিনীর এ ধরনের হামলা সংঘটিত হয়, সে সব দেশেও এ খসড়া আইন আকারে কার্যকর হবে বলে বহু মানবাধিকার কর্মীরা আশা করছেন।
অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পিটার স্পিলন্টার বলেন, ‘তারা যদি এ খসড়ার বিপক্ষে ভোট দেয় তাহলে আরব ও আফ্রিকার দেশগুলো গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। ‘
২০১০ সালের মে মাসে ১৫৫ ভোটে লিবিয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্য পদ লাভ করে।
তবে সাধারণ পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য রাষ্ট্র এ খসড়ার পক্ষে ভোট দিলে লিবিয়ার সদস্য পদ বাতিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১১