নয়াদিল্লি: ভারতের সরকারি হাসপাতালে গত দশ দিনে ১২ জন গর্ভবতী নারীর মৃত্যু হয়েছে। সন্তান জন্মদানের সময় তাদেরকে দূষিত ফুইড প্রয়োগ করা হয় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এদিকে আরও পাঁচ জন নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে যোধপুরের উমায়েদ হাসপাতালের চিকিৎসক জানান। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে মূলত দেশটির সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার নিম্ন মানের ভয়াবহ চিত্র আবারও প্রকাশিত হয়ে পড়লো।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। এর তিনদিন পর চিকিৎসকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু তারা এর কারণ অনুসন্ধানে ব্যর্থ হন। ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ তথ্য জানায়।
উমায়েদ হাসপাতালের সুপারিনন্টেডেন্ট এন জি চাগানি সংবাদপত্রটিকে বলেন, ‘ভয়াবহ রক্তক্ষরণের পর ওই নারীদের সবাই মারা যান এবং তাদেরকে প্রয়োগ করা আইভি ফুইডের কারণে সৃষ্ট সংক্রমণই এর কারণ বলে আমরা আশঙ্কা করছি। ’
পুলিশ ওই ফুইড উৎপাদন ও সরবরাহ করা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
যোদপুর পুলিশ কমিশনার ভুপেন্দ্র কুমার দাক টাইমস অব ইন্ডিয়া সংবাদপত্রকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি এবং আটক করা ফুইড পরীক্ষা করে দেখছি। ’
নিম্ন মানের স্বাস্থ্য সেবার কারণে ভারতের বহু মানুষই সামর্থ্য না থাকা সত্ত্বেও বেশি অর্থ ব্যয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১১